রাজধানীর মিরপুর এলাকার কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় জলাবদ্ধতার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে মিরপুর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শুরুর সময় আমরা এই জায়গাটি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন সিটি করপোরেশনের না। ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রেখে মেট্রোরেলের কাজ চালু রাখার কথা থাকলেও বিদ্যমান অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেট্রোরেলের কাজের কারণেই নানাভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই ড্রেন ও রাস্তা সচল রাখার ব্যবস্থা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে। কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ করার কথা থাকলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তা না করার কারণে আশেপাশের লোকজনকে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যেসকল শর্তে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দসহ প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে তারা সেসকল শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে না। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে মেট্রোরেল সংলগ্ন রাস্তা ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণে মেট্রোরেলের চলমান কাজ এখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। এ বিষয়ে নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী বলেই পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র বলেন, আমরা ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে ১০৩টি স্পট চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ৬টি হট স্পট রয়েছে। এগুলোর পানি কীভাবে নিষ্কাশন করা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে রোকেয়া সরণির পশ্চিম কাজীপাড়ায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।