X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামে আছে যত পুষ্টি

মুনিয়া মৌরিন মুমু, পুষ্টিবিদ
১৮ জুন ২০২১, ০৮:০০আপডেট : ১৮ জুন ২০২১, ০৮:০০

ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণে দেশি মৌসুমী ফল কিন্তু দারুণ কাজে আসে। আর মৌসুমী ফলের মধ্যে জাম আমাদের দেশে জনপ্রিয় ও সহজলভ্য। পুষ্টিগুণের বিচারেও অতুলনীয়। বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে জাম।

  • গবেষণা থেকে দেখা যায়, জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ ফল বলে রক্তে সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখে। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুসারে জামে থাকা উচ্চ অ্যালকালয়েড কন্টেন্ট হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • জামের বিচিও অনেক উপকারী। জামের বীজে থাকা জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি জামের বীজ ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
  • উচ্চরক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের জন্য জাম মহৌষধ। জামে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় জাম। গবেষণা বলছে, জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- অ্যান্থোসায়ানিন, গ্লুকোসাইড, ট্যানিনস, গারলিক অ্যাসিড ও অন্যান্য উপাদান (ভিটামিন-সি ছাড়া) হাইপারটেনশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ উপকারী।
  • যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা এখন নিয়মিত জাম খেলে উপকার পাবেন। এটি দেহে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। জামে থাকা আয়রন ও ভিটামিন-সি হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। পাশাপাশি জামের আয়রন রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
  • জামে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপারটি ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় এটি কার্যকর। যাদের তৈলাক্ত ত্বক বা ব্রনের সমস্যা রয়েছে তারা জাম খেলে উপকার পাবেন।
  • অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এটি থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খুব কার্যকর। জামের মতো গাঢ় রঙের ফলে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • হাড় ও দাঁত ভাল রাখতে খেতে পারেন জাম। কারণ জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও জামে বিভিন্ন বি-ভিটামিন রয়েছে যা খাদ্য বিপাকে সাহায্য করবে। জামে রয়েছে ম্যালিক এসিড, অক্সালিক এসিড, ট্যানিনস যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকে বাঁচাবে। সুতরাং যে কোনও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে জাম।

 

তবে এতো উপকারের কথা শুনে আবার জামবাটি নিয়ে জাম খেতে বসবেন না। প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি জাম না খাওয়াই উত্তম। বিশেষ করে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েরা জাম খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন।

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়