দিনাজপুর সদর উপজেলায় চলছে কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন। লকডাউনে ঘরে থাকতে বলা হলেও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে মানুষ। শহরের অধিকাংশ রাস্তায় বাঁশ বেঁধে দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল। এতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু।
শনিবার (১৯ জুন) শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশ বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে চৌকি বসিয়ে পুলিশ সদস্যদের মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আমরা কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে চেয়েছি। কিন্তু তা হয়নি। বাধ্য হয়ে শনিবার শহরের প্রায় সবগুলো প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি। এরপরও ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ধীরে ধীরে সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।
পঞ্চম দিনের লকডাউনেও থেমে নেই করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৬৫ জন। সংক্রমণের হার ৪৭.১০ শতাংশ। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৫৫ জন। সে হিসাবে ১৩ উপজেলায় শনাক্ত বিবেচনায় সদর উপজেলায় শনাক্তের হার ৮৪.৬২ শতাংশ।
মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে সদরের একজন, চিরিরবন্দরের একজন ও হাকিমপুরের একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ১৫০ জনের মৃত্যু হলো। বর্তমানে দিনাজপুরে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৩৪ জন। এর মধ্যে সদরের ৬৪৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৬ জন।