X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

শতাধিক মানুষকে বোকা বানিয়ে ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২০ জুন ২০২১, ২৩:১১আপডেট : ২০ জুন ২০২১, ২৩:১১

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. মনজিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুন) গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। রবিবার (২০ জুন) আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মনজিল বড় ধরনের প্রতারক। তিনি মানুষকে কোটি টাকার ঋণ প্রদানের লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনলাইনে চাকরি দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েও জামানতের নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে এমন প্রতারণা করেন। ২০২০ সালের ১ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালানোর পর পালিয়ে সিলেট চলে যান। সিলেটেও একই কায়দায় প্রতারণা করেছেন। চক্রের সবাই গ্রেফতার হলেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মনজিল মূলত মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। লেখাপড়া করেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। মুদি দোকানের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় এক আদম ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আদম ব্যবসায়ীর পরামর্শে খুলে বসেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নাম দেন বি.এস.এম. বিজনেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিকস কোম্পানি লিমিটেড। নিজেই হন ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের আগ্রাবাদ সেন্টারের চারতলায় করেন অফিস। কারও যেন সন্দেহ না হয় সেজন্য বোর্ড মেম্বার ও অর্গানোগ্রামও নির্ধারণ করেন। সেই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী সাইফুল ইসলামকে (৩৬) চেয়ারম্যান, মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরীকে (২৮) জিএম, নাহিদুল ইসলামকে (৩০) এজিএম ও সাগরিকাকে (২৮) অডিট অফিসার হিসেবে দেখানো হয়।

মাঠপর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এরিয়া ম্যানেজার। তারাই মূলত বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ঋণের নামে জামানত সংগ্রহ করে। পাঁচ লাখের জন্য ১০ হাজার টাকা, ১০ লাখের জন্য ১৫ হাজার টাকা, ১১ লাখ থেকে ৩০ লাখের জন্য ২৩ হাজার টাকা, ৩১ লাখ থেকে ৫০ লাখের জন্য ৪৩ হাজার টাকা এবং ৫১ লাখ থেকে এক কোটির জন্য ৮২ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। সঙ্গে আছে প্রোফাইল খরচ।

এভাবে শতাধিক মানুষকে বোকা বানিয়ে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ ৫১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান মনজিল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তার প্রতারণা ধরা পড়ে যায়। মামলাও হয়। ওই মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার হলেও অধরা থেকে যান মনজিল। অবশেষে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা থেকে গ্রেফতার হন তিনিও।

/এএম/
সম্পর্কিত
সরকারি চাকরির আশ্বাস ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৫
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট