X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক আমাদের

মোহাম্মদ আসাদ উজ জামান
০১ জুলাই ২০২১, ১৪:১২আপডেট : ০১ জুলাই ২০২১, ২২:১৩

মোহাম্মদ আসাদ উজ জামান একই মাটি এবং পরিবেশে থেকেও আম গাছে আম ধরে, জাম গাছে জাম ধরে এবং কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরে। আম, জাম এবং কাঁঠাল প্রতিটি ফলেরই বিশেষ বিশেষ গুণ আছে, যা মানুষের শরীরের জন্যে খুবই দরকারি। ঠিক একইভাবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও একেক জন ছাত্র বা ছাত্রী একেক রকম দক্ষতা অর্জন করতে পারে। সবাইকেই শুধু ভালো ফলাফল করতে হবে তা-ই নয়, ভালো ফলাফলের বাইরেও জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিজন ছাত্রের জন্যেই ভিন্ন একটি পরিবেশ। এটা নির্ভর করে একজন ছাত্রের মানসিকতা, তার বেড়ে ওঠা থেকে বর্তমান চাওয়া-পাওয়াসহ অনেক কিছুর ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা প্রতিজন ছাত্রই মেধাবী। মেধার সঙ্গে তার আগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেকে বিভিন্নভাবে গড়ে তুলতে পারে। তবে শুধু ব্যক্তি সফলতা দিয়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্থকতা পরিমাপ করা যায় না। এখানে অনেক ব্যর্থতাও আছে, মনে রাখতে হবে যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই স্বর্গ নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি যথার্থ বিশ্ববিদ্যালয় কিনা, আমি জানি না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখানে ভর্তির সুযোগ পাওয়াটা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। আমার পরিচিত যে কেউ এখানে ভর্তির সুযোগ পেলে আমি খুশি হই, অনেক খুশি হই, আমি যখন নিজে এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম, আমি নিজেও অনেক খুশি হয়েছিলাম। আজকের জীবনে যা কিছু করে খাচ্ছি তার পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে বিশেষ একটি ভূমিকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে যা কিছু জেনে নিয়েছি, তা দিয়ে আমার মতো অনেকেই জীবন চালিয়ে নিচ্ছি। অনেকে নিজেদের আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন, হয়তো তাদেরও শুরুটা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অথবা তার আগে, অথবা পরে। আবার নানান কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও খুব একটা কম নয়। এর জন্যে একজন শিক্ষার্থীর নিজস্ব যেমন দায় আছে, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও দায় আছে। এখানে বর্তমানে যারা শিক্ষক আছেন, তারাও মেধাবীদের মাঝেও মেধাবী। শুধু তা-ই নয়, তারা অনেক পরিশ্রমীও। আজ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাদের বেশিরভাগই ছাত্রজীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এরপর আবার উচ্চশিক্ষার জন্যে আরও অনেক পরিশ্রম করেছেন। এর মাঝেই নানান সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ তারাই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পেরেছেন। তাই বলে দুই একটি ব্যতিক্রম থাকতে পারবে না, তা কিন্তু নয়। এটা তো সত্য, বর্তমান ছাত্ররা বর্তমান শিক্ষকদের কাছেই শিক্ষালাভ করছেন। এদের অনেকেই উন্নত বিশ্বের অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে, যেমন করে আগে অনেকেই গেছে। এবং এদের অনেকেই উচ্চশিক্ষা শেষে উন্নত বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বা গবেষক হয়ে সম্মানের সঙ্গে কাজও করবে।      

অনেক সময় উন্নত বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মান টেনে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের তুলনা করা হয়। কিন্তু এই তুলনা করতে গিয়ে উন্নত বিশ্বের সামগ্রিক পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষের মানসিকতার সঙ্গে আমাদের সামগ্রিক পরিবেশ এবং আমাদের মানসিকতার তুলনা করতে খুব একটা চোখে পড়ে না। পরিবেশ এবং সামগ্রিক মানসিকতার প্রতিফলন অবশ্যই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই নীতি নৈতিকতার অভয়ারণ্য এই আশা থাকাটা ভালো, তাই বলে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই সমস্ত ভালো কিছু আশা করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি এবং রাজনীতির রীতিমতো মিলনস্থল, যার ফলে এখানকার পরিবেশের জটিলতাটা রীতিমতো দুর্বোধ্য।

একটু ভিন্নভাবে বলতে গেলে, আমাদের দেশ এবং এর জ্ঞান বিজ্ঞান পরিবেশ– কোথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ নেই? দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের জন্যে এর আছে বর্ণাঢ্য ঐতিহ্য। কোনও প্রকার প্রমাণ ছাড়াই বলা যায়, রাষ্ট্র এবং সমাজযন্ত্রের দক্ষ জনশক্তির সবচেয়ে বড় অংশটাই কোনও না কোনোভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত। এ কথা ঠিক, শুরুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারাক অনেক বেশি। পরিবর্তন এবং বিবর্তন দুটোই হয়েছে, বেড়েছে তার কলেবর। একই সঙ্গে এসেছে পরিবেশ এবং পুরো মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝেও অনেক বড় বড় ছাপ ফেলেছে, ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুভাবেই।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু বলতে পারাই যেন আমাদের বড় একটি উল্লাস, বিশেষ করে নেতিবাচক কথায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষক এবং প্রশাসন নিয়ে অনেকেই মুখর। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে নেতিবাচক কথাগুলো আরও দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে যায়। দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও অনেকেই এগুলো আবার উসকে দিয়ে থাকেন। এর ওপর আছে ব্যক্তি ব্যর্থতার নানান টানাপড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, এবং এখানকার শিক্ষকদের সুপারিশেও যারা উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখতে পেরেছেন, তাদেরও দেখা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কঠোর নেতিবাচক সমালোচনা করতে। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা চিন্তা-চেতনার পরিস্ফুটনে বড় একটি ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বলে একপেশে নেতিবাচক সমালোচনা কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মর্যাদার উচ্চ আসনে নিয়ে যায় না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের সবার ব্যক্তি আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক বা প্রশাসন কারোরই নয়। তাদের নিজেরও সব আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন তারা নিজেরা করতে পারেন না। দেশের অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে।  

একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের গর্বেরও যেন শেষ নেই। মাঝে মাঝে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়– ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এখানে ভালো রেজাল্ট করতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এখানে শিক্ষক হতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এখানকার পরিচয় দিতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এর আশপাশে থাকতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এখানে বেড়াতে আসতে পেরে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। একে নিয়ে একটা দুটো কড়া কথা বলতে পারলে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। এমনকি, এর গায়ে কালিমা লেপন করতে পারলেও মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে; এ যেন সত্যিই বাঙালি জাতির জন্যে এক ভয়ানক গর্বের স্থান।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারার আনন্দ আছে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই মেধাবীরা এখানে ভর্তি হয়ে থাকেন। তবে এই নিয়ে বিশেষ গর্বের কোনও কারণ থাকতে পারে না। এই দেশের অনেক অনেক ভালো ছাত্ররাও এখানে পড়েনি, ভর্তির সুযোগ পেয়ে এবং ভর্তির সুযোগ না পেয়ে। তাই বলে কি তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। পৃথিবীর কেন, এই দেশেই অনেক অনেক কীর্তিমান মানুষ আছেন যারা কোনোভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত নন। তাই শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারাই কোনও গর্ব হতে পারে না। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বলেও কিছু থাকার কথা নয়। এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে ছাত্ররা আসবে, লেখাপড়া শেষ করে যে যার পছন্দের পেশায় চলে যাবে। এখানে যারা শিক্ষক হবেন, তাদের জন্যেও এটি একটি চাকরি, কর্মচারীদের জন্যেও তাই। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বলে বাড়তি গর্বের তেমন সুযোগ থাকতে পারে না। তবে দেশের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যপূর্ণ ভূমিকার কথা টেনে এনে বলা যায়, পুরো বাংলাদেশই একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের কাছেও এটি একটি পরিচিত নাম। এখানকার মেধাবী ছাত্র শিক্ষকের কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিচিতি। তবে এটাও সত্য কালে কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নেতিবাচক অনেক কিছুরই আগমন ঘটেছে, পত্রপত্রিকায় প্রায়ই বড় বড় রিপোর্ট চলে আসে। তখন মনে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যেন বুড়িগঙ্গা নদীর অদ্ভুত একটি মিল। যে বুড়িগঙ্গা নদীর কারণে আজকের এই ঢাকা শহর, এর পানি আগের মতো নির্মল আর বিশুদ্ধ নেই। নানান জঞ্জালে আজ বুড়িগঙ্গা পরিপূর্ণ। তারপরেও আজও এই বুড়িগঙ্গায় নৌকা চলে। মানুষ এখানে গোসল করে, এই পানি দিয়ে ফসল ফলায়। এই নদী পার হয়ে অনেক মানুষই পৃথিবীর নানা প্রান্তে চলে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ঠিক তাই। কালের অনেক জঞ্জাল এখান অভিশাপের মতো বাসা বেঁধেছে। এর মাঝেই নতুন ছাত্ররা আসছে, লেখাপড়া করছে, তারপর দেশসহ বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে, রাখছে নিজেদের সফলতার নানান স্বাক্ষর। মাঝে মাঝে দুই একজন যে হারিয়ে যায় না, তাও না। তবে বুড়িগঙ্গা নদী আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বড় একটি পার্থক্যও আছে। প্রতিবছর বর্ষার পানি বা বন্যাতে বুড়িগঙ্গার কিছু জঞ্জাল ভেসে যায়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জঞ্জাল সরানোর মতো বছর বছর কোনও বন্যা দেখা যায় না। বরং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একবার জঞ্জাল জমতে শুরু করলে, জঞ্জাল জমতেই থাকে, জমতেই থাকে।     

আমরা যদি জঞ্জালমুক্ত বুড়িগঙ্গা বা কালের অভিশাপমুক্ত আমাদের স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাই, তাহলে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এত দিনের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার করার উপায় নেই, একদিনে পরিষ্কার করতে পারলেও তা টিকবে না, এর সঙ্গে দরকার আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন এবং শিক্ষা। তবু যদি আমরা পরিবর্তন চাই, তাহলে আজ থেকেই শুরু করতে হবে, এবং শুরুটা হতে হবে আমাদের সন্তানদের দিয়ে, ওদের শিক্ষা দিতে হবে, যেন ওরা যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে। ওদের শিক্ষা দিতে হবে যেন ঠিক সময়ে ক্লাসে হাজির হতে পারে, একটি বই পড়ে যেন জ্ঞান অর্জন করতে পারে, ওদের মানসিকতার পরিবর্তনে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে এবং এর জন্যে ওদের সময় দিতে হবে। অভিযোগসহ অহেতুক সমালোচনার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। এর পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সামান্য মানসিকতার পরিবর্তনের কারণেই হয়তো একদিন আমাদের সন্তানেরাই একে নিয়ে যাবে বিশ্বমানের সর্বোচ্চ শিখরে। যে সন্তানেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও নিজেকে নিয়ে যায় দক্ষতার চূড়ান্ত পর্যায়ে, তারাই একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও নিয়ে যাবে এক স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এই বিশ্বাস রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের বলে ভাবতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আমাদের সবার। একইভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক আমাদের, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই নিজস্ব একটি সফলতা আছে, কোনোভাবেই এগুলো খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া করে, যারা শুধু আমাদের সন্তান নয়, ওরা আমাদের দেশসহ পুরো বিশ্বের ভবিষ্যৎ, ওদের দক্ষতায় যেমন আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, তেমনি এগিয়ে যাবে পুরো বিশ্ব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষকতা করেন, তাদের সবার জীবনেই সফলতা আছে, পড়াতে গিয়ে এবং গবেষণা করতে গিয়ে তারাও কঠোর পরিশ্রম করেন, এবং অবশ্যই তারা আমাদের দেশের গর্ব। তবে সবখানেই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম থাকবে, বলতে গেলে এটাও এক রকম স্বাভাবিক। এটুকু মেনে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসুক, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক আমাদের,  একই সঙ্গে আমরা নিজেরাও যেন হয়ে উঠতে পারি আমাদের নিজেদের, আমাদের দেশের এবং বিশ্বময়ের!   

 

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ