বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের কল করা ও মেসেজ পাঠানো থেকে শুরু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজর রাখার মতো হাজারো বিষয় তরুণ ও কিশোরদের মনোযোগ সেল ফোনে বন্দি থাকে। তবে ক্রেইগ ফার্নান্দেজ নামের ব্যক্তি এটি বদলানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
২৪ বছর বয়সী ‘লকঅ্যান্ডস্টক’ নামের ফ্রি অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এই ক্রেইগ ফার্নান্দেজ। তার কথায়, ‘যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, আমি দেখেছি প্রচুর শিক্ষার্থী সর্বদা ক্লাসে তাদের ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকত। আমি এই বিষয়ে কিছু করতে চাইছিলাম।’
এই অ্যাপটি ক্লাস চলার সময় ফোন বন্ধ রাখার শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দিচ্ছে। ফোন বন্ধ করার মাধ্যমে অ্যাপটিতে নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা ‘কী’ সংগ্রহ করেন। প্রতি মিনিট বন্ধ রাখার জন্য একটি ‘কী’ পাওয়া যায়। সংগৃহীত ‘কী’ ব্যবহার করে পুরস্কার, ছাড় ও বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়।
দুবাইভিত্তিক অ্যাপটির সিইও ফার্নান্দেজ জানান, লকঅ্যান্ডস্টক মূলত যাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ২৫টিরও বেশি দেশে লক্ষাধিক নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছেন।
তার দাবি, অ্যাপটি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাকে আরও সহজে প্রাপ্য ও সাশ্রয়ী করতে ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় করা ‘কী’ অ্যাপটির অংশীদার ১ হাজার ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর আওতায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রায় সব, মালয়েশিয়া ও তুরস্কের অর্ধেক, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৩০০টি করে বিশ্ববিদ্যালয়।
ফার্নান্দেজ জানান, স্কলারশিপের আবেদনে খরচ প্রায় ‘৩০০ কী’ এবং স্কলারশিপ টিউশন ফির ১০ শতাংশ। কিন্তু চার বছরে একজন শিক্ষার্থী প্রায় ৫০ শতাংশ খরচ পেতে পারেন।
২০২০ সালে ১০ লাখ ডলারের বেশি স্কলারশিপ তহবিল প্রদান করেছে।
অ্যাপটির সিইও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বলছি, সামর্থ্য নেই বলে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করার দরকার নাই। আমরা সহযোগিতা করব। সূত্র: সিএনএন