X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থা: আমাদের করণীয়

মুহম্মদ মফিজুর রহমান
১৫ জুলাই ২০২১, ১৬:৩০আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৬:৩০

মুহম্মদ মফিজুর রহমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে বৈশ্বিক মহামারি শুরু হলেও বাংলাদেশে তা দেখা যায় ২০২০ সালের মার্চে। তখন থেকেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা ব্যতীত) বন্ধ রয়েছে। মাঝে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে আশার আলো দেখা গিয়েছিল, যা আবার অমানিশায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা হতে বিশ্ব কবে মুক্ত হবে, বিশেষ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে- তা কেউ বলতে পারছেন না।

আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াটা যেন অনেকটাই স্থবির। অনলাইনে কিছু ক্লাস হয়, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম, অনেক ক্ষেত্রে ক্লাসই নেই। অনেক বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুলের শিক্ষক অন্যের গরুর ফার্মের গরুর গোবর পরিষ্কারের চাকরি নিয়েছেন জীবনের প্রয়োজনে। প্রায় দেড় বছর পৃথিবীব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও লেখাপড়া তেমন বন্ধ নেই; যেমনটি আমাদের আছে।

আমি নিজেই এখনও চীনের উহান শহরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লার্নিং গবেষক হিসেবে কাজ করছি, সেখানে একদিনেরও সেশনজট নেই। উন্নত দেশে যখন যাদের ক্লাস বা পরীক্ষা, সবই ঠিকঠাক চলছে। তাহলে আমাদের এমন কেন হচ্ছে!

একটু পেছনে ফিরে দেখি–

শিক্ষাব্যবস্থা কোনও পাবলিক জরিপের বিষয় নয়, এটি গবেষণার বিষয়। মানুষকে মানবসম্পদে পরিণত করা কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। পৃথিবীব্যাপী শিক্ষা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে- হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ধারাবাহিক পরিবর্তন হয়েছে এভাবে– Traditional Learning; Distance Learning; Electronic Learning; Mobile Learning.

পৃথিবী এখন M- learning (Mobile Learning) এ এসে পৌঁছেছে। যদিও পুরোপুরি M-learning এ শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়, এছাড়াও ব্যবহারিক শিক্ষায় সমস্যা হওয়ায় ২০০০ সালে উদ্ভাবিত হয়েছে Blended Education (online +offline), যা পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও সব থেকে পুরনো সেই শিক্ষাব্যবস্থা Traditional Learning এ অবস্থান করছে, এবং খুবই সামান্য পরিসরে দুর্বল ভিত্তির ওপর D-learning (Distance Learning) পরিচালনা করেছে (তাও সামান্য পরিসরে Bangladesh Open University ১৯৯২ সালে, যা পৃথিবীতে চালু হয়েছিল ১৮৯২ সালে, অর্থাৎ ১০০ বছর পরে এ দেশে শুরু হয়েছে)।

যখন উন্নত দেশসমূহ প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে তাদের শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তুলেছে, সেখানে আমরা লক্ষ লক্ষ অনুপযোগী শিক্ষিত বেকার তৈরি করেই চলছি। বিশ্ববাজার তো দূরের কথা, নিজেদের দেশের চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করার শিক্ষাব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারিনি এখনও।

সে জন্য এ দেশের শিল্প-কারখানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখনও প্রায় সবই বিদেশি। অথচ দেশে রয়েছে প্রচুর যুবশক্তি। ব্রিটিশ, ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের দোষ দেওয়ার বয়স এখন আমাদের নেই, কারণ আমরাও এখন ৫০ বছর বয়সী। অনুন্নত বা উন্নতশীল দেশসমূহও যখন ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কারিক্যুলামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখন করোনা তাদের এক ধাপে ৫০ বছর সামনে এগিয়ে দিয়েছে। ফিলিপাইন, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডের মতো দেশও এই বিপদে প্রযুক্তিনির্ভর লেখাপড়ায় নিজেকে খাপখাইয়ে নিয়েছে। অপরদিকে, আমরা বসে আছি কবে কখন পরিবেশ স্বাভাবিক হবে সেই আশায়। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে স্বাভাবিক নিয়মে লেখাপড়া হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ততদিনে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকাটা সমীচীন মনে হয় না।

যদিও আমাদের শিক্ষকেরা প্রথম থেকেই অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে ফেসবুকে/মেসেঞ্জারে/ইউটিউবে ক্লাস আপলোড করা কি সত্যিকার অর্থে অনলাইন ক্লাস। ব্লাকবোর্ড-এর সামনে দাঁড়িয়ে ৪০ মিনিটের লম্বা ক্লাস কি অনলাইন ক্লাস! ক্লাসের মান কি যথাযথভাবে রক্ষা হচ্ছে! প্রকৃতপক্ষে এটা কোনও অনলাইন ক্লাসই নয়। ছেলেমেয়েদের ক্লাসে ধরে রাখাও ক্লাসের একটা অংশ। অফলাইন ক্লাস আর অনলাইনে ক্লাসের মধ্যে পদ্ধতিগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। ক্লাসের মানের ওপর নির্ভর করে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি। তারপরেও সেসব শিক্ষকদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাতে চাই, যারা কোনও রকমের প্রস্তুতি ছাড়া, যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই ক্লাস তৈরি করে যে মাধ্যমেই পেরেছেন, সেখানেই আপলোড দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। মনে রাখা দরকার, আমি যখন চার দেয়ালের মাঝে ক্লাস নিই, তখন শিক্ষার্থী কেবল আমাকেই চেনে এবং তার থেকে আমাকে অনেক জ্ঞানী ভেবে একাগ্রচিত্তে শ্রবণ করে। কিন্তু যখন সে অনলাইনের ক্লাসে যাবে, তখন চার দেয়াল নয়, তামাম দুনিয়ার ক্লাস সে দেখতে পাবে। যখন চমৎকার উপস্থাপনায় Walter Lewin-এর পদার্থের ক্লাস, Mathtricts-এর গণিতের ক্লাস দেখবে, তখন কেন সে আমার এমন ঘুম পাড়ানো ক্লাসের জন্য মুখিয়ে থাকবে! আমাদের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যা-ই থাকুক, অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কোনও প্রস্তুতি নেই; নেই কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্মও। সে কারণেই আমাদের শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নিতে হলে প্রশিক্ষণ এবং কিছু সরঞ্জামাদি প্রয়োজন। মাত্র ১৫ দিনের একটা ট্রেনিং বেঞ্জিন শেপ (ধরা যাক, ৫ জনকে ট্রেনিং দেওয়া হলো, সেই পাঁচ আরও বাকিদের ট্রেনিং দিলো) দিলে ৩/৪ মাসেই দেশের সিংহভাগ শিক্ষক দক্ষতা অর্জন করতে পারতেন।

অনলাইন ট্রেনিংয়ের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে - সবার ট্রেনিং না হলেও চলে, একটা ট্রেনিংয়ের ভিডিও শেয়ার করলে বাকিরা সেটা থেকেই শিখে নিতে পারেন। কমেন্ট বক্সে পারস্পরিক আলোচনায় ঘাটতিটুকুও পূরণ করে নিতে পারেন। শিক্ষা প্রশাসন এ উদ্যোগটি অতি সহজেই নিতে পারে বলে আমি মনে করি। তবে তার আগে দরকার একটা অনলাইন প্লাটফর্ম। প্রায় সব দেশই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, যা অতি সাধারণ ব্যাপার মাত্র।

প্রশ্ন আসবে– আমরা কি সক্ষম? জবাবে বলবো– কেন আমরা অক্ষম? কয়েকটি তথ্য দিই, স্মার্টফোন ব্যবহারে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান নবম (উইকিপিডিয়া)। ১৬৫.৫ মিলিয়ন মানুষ ১৭০.২১৭ মিলিয়ন ফোন ব্যবহার করছেন এবং ১১২.৫৫৪ মিলিয়ন ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় (বিটিসিএল, জানুয়ারি, ২০২১)। রিসার্চ আর্টিকেল হতে দেখা যায়, মোট স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অধিকাংশ লোকের বয়স ১৯-৩৬ বছর। কিন্তু তাদের মাত্র ২৩.৭% লোকে তা লেখাপড়ার জন্য ব্যবহার করে। উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নকারী ৯৯.৭% শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ব্যবহার করে।

এবার কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে কিছু তথ্য দিই–

প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে রয়েছেন দেড়শ’ ক্যাডার কর্মকর্তা যারা কম্পিউটার সায়েন্সে লেখাপড়া করেছেন। এছাড়া রয়েছেন কয়েক ডজন ই-লার্নিং গবেষক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তেমন শিক্ষক বা গবেষক না থাকলেও, তাদের ছাত্রছাত্রীদের যারা পড়ান, তাঁদের মধ্যে সরকারি কলেজের এ বিষয়ে যোগ্য শিক্ষকরা রয়েছেন। বেসরকারি অনেক কলেজেও কম্পিউটার সাইন্সের অনেক যোগ্য লোক আছেন। সেই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ২৬৪৮ কোটি অলস টাকা (জানুয়ারি,২০২১ পর্যন্ত), যা গরিব এই জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

তাহলে কেন আমরা অক্ষম বলছি! আমরা অক্ষম শুধু সিদ্ধান্ত নিতে, সোজা কথায় নেতৃত্বের অভাব। ৭১-এ যখন এ দেশের মানুষ পাক-বাহিনীর কামানের গোলার সামনে যুদ্ধ করেছিলেন, তখন আমাদের কি সক্ষমতা ছিল! কামানের গোলা প্রতিহত করার কি যোগ্যতা ছিল আমাদের! ছিল একটা নেতৃত্ব। ছিল একটা মাথা জাগানিয়া ভাষণ– তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো। শিক্ষার নেতৃত্বকেও তেমনভাবে ভাবতে হবে। ২০২০-এর কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে Education International-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে – ‘শিক্ষক: সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যৎ ভাবনা’।

আমাদের সিস্টেমের একটা সমস্যার কথা না বললেই নয় । ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আইসিটির ট্রেনিং নিয়ে থাকেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা। যাদের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের যথাযথ ব্যবস্থা করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ট্রেনিংপ্রাপ্তদের অধিকাংশই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, যারা ট্রেনিং নিয়ে দক্ষ হওয়ার পরেই অন্য কোথাও বদলি হয়ে যান। ফলে তাদের ট্রেনিং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না। যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই শিক্ষা ব্যবস্থার নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ, তাই শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর ট্রেনিং প্রাপ্তদের অন্য সেক্টরে বদলি না করা অথবা ট্রেনিংয়ে কেবল শিক্ষকদের প্রেরণ করলে তা যথাযথ ফল বয়ে আনবে বলে মনে করি।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আইটি এক্সপার্ট ও ই-লার্নিং গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া জরুরি। সোজা কথা, আমরা যতটুকু সক্ষম ততটুকু তো করতে পারি। আমাদের থেকে কম আয়ের অনেক দেশ যদি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, আমরা কেন পারবো না! কেউ বলছেন প্রায় ২০% লোক নাকি অনলাইনের আওতার বাইরে (অনুমান নির্ভর) । তাহলে কি সেই ২০%-এর জন্য বাকি ৮০% কে ঘুমিয়ে রাখতে হবে! নাকি সেই ২০% কে সাপোর্ট দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

একটা প্রশ্ন জাগে মনে, উচ্চশিক্ষার তো প্রায় শতভাগ ছাত্রছাত্রী স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তাদের লেখাপড়ার জন্য কি কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা তো সবাই অনলাইনের আওতায়। প্রকৃতপক্ষে সবাই অপেক্ষা করছেন হয়তো। বিজ্ঞানের এই যুগে এভাবে প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকার কোনও অর্থই হয় না ।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীকে পাঠ থেকে সরিয়ে রাখলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পতিত হবে। জ্ঞানশূন্য সার্টিফিকেটধারী মানুষ ঘরে থাকা প্রতিবন্ধী বা মাদকাসক্ত সন্তানের মতো। তারা পরিবার তথা সমাজের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে । কখনও কখনও হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে তারাও মাদকাসক্ত ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে। আর দেরি নয়, কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেই এখনই অনলাইন শিক্ষা (যা মন্দের ভালো) সম্পূর্ণভাবে চালু করতে সক্ষম, এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশন চালু করা সহজ হবে, যা দেশকে এক ধাপে অনেক সামনে নিয়ে যাবে । D-Learning-এর মতো ১০০ বছর পিছিয়ে নয়, আজই ব্লেন্ডেড এডুকেশন চালু করতে হবে (তাও ২০ বছর পিছিয়ে থাকবে)। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যোগ্য করে তোলার জন্য প্রযুক্তিতে খাপ খাইয়ে (adaptation) নেওয়ার এখনই মোক্ষম সময় । যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন- সেই প্রত্যাশা করি।


লেখক: রিসার্চ ফেলো (পিএইচডি), উহান, চীন।

 
 
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ