আফগানিস্তানে আগামী ৩ মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার একদিনের মাথায় ভোল পাল্টেছে সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠী। আফগান সরকার যদি ৭ হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত তারা। তবে দলটির এক মুখপাত্র বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নয়, প্রস্তাব মেনে নিলে সামরিক অভিযান কিছুটা কমিয়ে আনবে তালেবান।
ন্যাটো ও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিকে সম্প্রতি আফগানিস্তানে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। দখলে নিচ্ছে একের পর এক জেলা। তালেবানের দাবি, এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাদের বেপরোয়া আক্রমণে হুমকিতে দেশটির সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা বাহিনীও অনেক সময় গোষ্ঠীর আক্রমণে ভয় পালিয়ে যাচ্ছে।
এরমধ্যেই গত বুধবার আফগানিস্তানের ওয়ান টিভি’র খবরে বলা হয়, আফগান সরকার যদি কারাগার থেকে তাদের ৭ হাজার বন্দিকে মুক্তি এবং জাতিসংঘের কালো তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করে, তবে আগামী তিন মাসের যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এর একদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা অস্বীকার করেছে তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি, সামরিক অভিযান সীমিত করার কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের কোনও তথ্য নেই’।
তালেবানের দুই ধরনের প্রতিক্রিয়ায় বিভ্রান্ত তৈরি হয়েছে দেশটির অভ্যন্তরে। এ নিয়ে আফগান সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তালেবানের তথ্যমতে, আফগানিস্তানের ২১২টি জেলা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আর আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে ৭০টি। এছাড়া ১১৬টি জেলা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ আগস্টের মধ্যেই ন্যাটো এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হবে।