X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁধের বাধায় বন্দি চীনের ‘বন্ধুত্ব’

ফারাজী আজমল হোসেন
১৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৪০আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১৬:০৭

ফারাজী আজমল হোসেন চীন, ভারত ও বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে অনেক কিছুই ভাগ করে নিচ্ছে এই তিন দেশ। তার মধ্যে নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে যখন তিস্তার বাঁধ নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা, তখন এশিয়ার সবচেয়ে বড় বাঁধের একটি নির্মাণ করেছে চীন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারতের আসাম। আর তার থেকেও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের যমুনায় পানির প্রবাহ কমার পাশাপাশি নদীর পানির গুণগত মানেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। চীনের এই বাঁধের বাধায় আটকে আছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েক কোটি জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা।

চীনের ইয়ারলাং সাংপো নদী চীন, ভারত এবং বাংলাদেশের একটি বড় অংশের জনগোষ্ঠীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার মিটার উঁচু তিব্বতের চেমায়ুংডং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে এটি তিব্বত থেকে সিয়াং নামে প্রবেশ করেছে ভারতের অরুণাচলে। এরপর আসামে প্রবেশ করেছে নদীটি, যেখানে তার নাম ব্রহ্মপুত্র। এরপর নদীটি প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে, যা যমুনা নদী নামে পরিচিত। চীন বিগত কয়েক বছর ধরেই ইয়ারলাং সাংপোতে বাঁধ তৈরি করছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বড় একটি বাঁধ জাংমু হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট, যা ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে। কিন্তু এই বাঁধের কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছর পর থেকেই অরুণাচল অঞ্চলে হঠাৎ করেই নদীর পানি অতিরিক্ত ঘোলা এবং কালো রঙ ধারণ করে, যা ব্যবহারের উপযোগিতা হারায়। চীনের ১৪তম পঞ্চবর্ষ পরিকল্পনায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত হাইড্রোপাওয়ার প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার চায়না’ তিব্বতের অটোনমাস অঞ্চলের সঙ্গে একটি বড় হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ইয়ারলং সাংপো নদী তীরে গড়ে তোলা হবে। এই নদীর জলরাশির গতিপথে লাগাম টেনে উত্তরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে চীন, যা বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এই অঞ্চলে কৃত্রিম এই পরিবর্তনের ফলে ভূমিকম্প ও ভূমিধসের পরিমাণ অনেকাংশ বাড়বে। যেমনটি ২০২০ সালে তিব্বতের চেন এলাকায় হওয়া ভূমিধস বা নিনচি অঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, তা নিয়মিত ঘটতে পারে।

যখন কোনও নদীর পানি বণ্টনের বিষয় সামনে আসে তখন নদীর উৎপত্তি স্থলের অঞ্চলে থাকা দেশ বেশি সুবিধা লাভ করে। অন্যদিকে সমুদ্রের নিকটে থাকা অঞ্চলগুলো সঠিক সময়ে পানি থেকে বঞ্চিত হয়। আন্তর্জাতিক সব আইনের বিপক্ষে থাকলেও চীন কাজটি করেছে ভারত ও বাংলাদেশের কোনও সম্মতি না নিয়ে। চীন যেহেতু নদীর উৎস অঞ্চল এবং নদীর অববাহিকায় ভারত ও বাংলাদেশ, তাই পানি বণ্টনের মূল কর্তৃত্ব থাকছে চীনের কাছে। সুতরাং শুষ্ক মৌসুমে খরা এবং বর্ষা মৌসুমে এই বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতে বন্যা হতে পারে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে আগ্রাসনবিরোধী ও সাম্যের কথা প্রচার করেছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিনপিং জানান, ‘চীন কখনোই আধিপত্যকামী হবে না। প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাবে না।’ কিন্তু বাস্তবতা বলছে একেবারেই ভিন্ন কথা। বিশ্বজুড়ে ‘উলফ ডিপ্লোম্যাসি’ বা আগ্রাসনবাদী কূটনীতির চর্চা করছে চীন। সম্প্রতি কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের বক্তব্য এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও থেমে যায়নি চীন। দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কোয়াড’ যেহেতু চীনকে বাদ রেখেই করা হচ্ছে, সুতরাং এ বিষয়ে মন্তব্যের অধিকার চীনের রয়েছে। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার কোনও তোয়াক্কাই করছে না চীন, যা স্পষ্টভাবেই তাদের আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ।

অন্য দেশের সীমান্তের সঙ্গে অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে যেকোনও প্রকল্প গ্রহণের আন্তর্জাতিক শিষ্টাচারকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে চীন। দেশটি শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেছে নিয়েছে হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টকে। আর সে কারণেই নদী তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে মাঝারি ও বড় বেশ কিছু হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট। ইয়ারলং সাংপো নদী তীরে এ কারণেই গড়ে তোলা হচ্ছে বড় হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টটি।

এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশের যমুনা নদী শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ হারাবে। সেই সঙ্গে পানির গুণগত মানেও পরিবর্তন আসবে। হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টের জন্য নদীর পানি জমিয়ে রাখার কারণে পলিমাটির উর্বরতা থেকে বঞ্চিত হবো আমরা। সেই সঙ্গে পানি পলি কম বহন করায় অতিরিক্ত ক্ষার নদী ভাঙনের পরিমাণ আরও বাড়াবে। নদীর জলজ জীববৈচিত্র্য এই কারণে প্রভাবিত হতে বাধ্য। নির্মাণের স্থানে জলের মধ্যকার ইট্রোফিকেশন হতে পারে (রাসায়নিক পুষ্টি, যেমন- নাইট্রোজেন এবং ফসফরাসসহ জল সমৃদ্ধকরণ উপাদান), যা পানযোগ্য পানীয় জলের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পানির গুণগত মান পরিবর্তনের ফলে বাস্তুসংস্থানে এই নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রতিটি প্রাণীর জীবনে তার প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে নদীর পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য মাছের উৎপাদনও হ্রাস পাবে, যার ফলে মৎস্য আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই বঞ্চিত হবে তাদের জীবন-জীবিকা থেকে। যেই প্রকল্পের মাধ্যমে নদী তীরে বসবাস করা মানুষগুলোর জীবন বিপন্ন হতে পারে, এমন এক প্রকল্প তৈরির আগে বিষয়গুলো আরও পর্যালোচনার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল চীনের।

২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে চীনের যেই লক্ষ্য রয়েছে তা অর্জনে ইয়ারলং সাংপো নদী তীরে গড়ে ওঠা এই প্রজেক্ট বড় ভূমিকা রাখবে বলে বর্ণনা করছে দেশটি। এর মাধ্যমে ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চায় চীন। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিব্বতে চাকরির বড় একটি বাজার তৈরি হবে বলেও প্রচার করছে দেশটি। ইয়ারলাং সাংপো নদী থেকে চীনের উত্তর প্রদেশে বড় অংশের পানি সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজটি করা হবে। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পকে চীন তার জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবেও দেখছে, যার মাধ্যমে নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আরও উন্নত হবে দেশটি। যখন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ‘গ্রিন এনার্জি’-তে রূপান্তর করবে পৃথিবী, তখন কম খরচে জ্বালানি উৎপাদনের সহজ একটি পথ তৈরি করছে চীন। কিন্তু তাদের পরিবেশ রক্ষার এই উদ্যোগে মানব ও পরিবেশের জন্য যেই বড় হুমকি হয়ে আসছে অন্য দুই দেশের জন্য সে বিষয়ে কিছুই বলছে না তারা।

এই বাঁধ কত বড় হুমকির কারণ হতে পারে তা ভারতের একটি উদাহরণ টানছি আমি। ২০০০ সালের এপ্রিলে ঝামু ক্রিক এলাকায় একটি বড় ভূমিধস হয়, যার প্রভাবে সেখানে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ইয়েগং নদীর গতিপথ। এরপর আবারও নদীর গতিপথে পানি চলাচল শুরু হলে তা হঠাৎ করে বন্যার সৃষ্টি করে (ফ্লাশ ফ্লড) ভারতের অরুণাচলে। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে হওয়া এই বন্যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত হতে হয়। এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক বাঁধ ফেটে সৃষ্ট বন্যার ঘটনা এটিই প্রথম। এবার যদি কৃত্রিম কোনও বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে কী হতে পারে, বিষয়টি সবার কাছেই বেশ স্পষ্ট। এদিকে ২০০০ সালের সেই বন্যার পর থেকে এই অঞ্চলকে নিয়মিত বন্যার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই নদীতে বাঁধ নির্মাণ করায় নদীর গতি কমে পলির স্তর বাড়ছে। ফলে বন্যা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যা খুবই ভয়ংকর। বন্যা একটি অঞ্চলের সড়ক থেকে শুরু করে সব অবকাঠামো নষ্ট করে। নদী তীরবর্তী অনেক অঞ্চলেই পানি পথে যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, বন্যার সময় স্বাভাবিক জীবন দারুণভাবে ব্যাহত হয়। তাদের জীবন থমকে যায়।

বাংলাদেশও নদীমাতৃক হওয়ায় এর জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষিকাজ ও মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। এই উভয় শিল্পই পানির গুণমান এবং প্রাপ্যতার ওপর নির্ভরশীল। ইয়ারলাং সাংপোর ওপরের প্রান্তে জলাবদ্ধতা বা জলের বিবর্তন ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও বঞ্চিত করবে এবং এর জনগণের জীবিকা নির্বাহে প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দেশের নদীগুলোর প্রায় নব্বই শতাংশই অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে মধ্যে প্রবেশ করেছে। যেই ক্ষতির দিকে বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে যাচ্ছে চীনের কারণে, তা মীমাংসায় অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বিশুদ্ধ পানি প্রকৃতির সর্বোত্তম পুরস্কার। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এরই মধ্যে ইয়ারলাং সাংপো নদীর পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। হঠাৎ প্লাবন বা ‘ফ্লাশ ফ্লোড’-এর কারণে যেই ক্ষতি হয় তা মোকাবিলায় নদীর পানির সঠিক প্রবাহ সম্পর্কে অগ্রিম ধারণা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা যায়। ২০১৮ সালে ভারত ও চীন তাদের অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা মৌসুমি বন্যা প্রতিহত করতে প্রতি বছর মে থেকে অক্টোবর মাসে সরবরাহ করার কথা। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মতো নিম্ন অঞ্চলে থাকা দেশগুলো বন্যার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে পারে। কিন্তু ইয়ারলাং সাংপো নদীর বাঁধ এই পুরো অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি বাস্তুসংস্থান, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক পরিবর্তন আনতে পারে। এই নদী যাদের জীবন-জীবিকার অংশ, যাদের জীবন নির্ভর করছে এই নদীর জন্য, তাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলবে এই বাঁধ।

সিপিসি বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণে তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে চায় বলে জানিয়েছেন শি জিনপিং। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি পূরণে চীন সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে গিয়ে দুটি দেশের কোটি কোটি মানুষকে দরিদ্রতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বকে তুলনা করতে গিয়ে যেই স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলো ‘ভালোবাসার নৌকা পাহাড় বাইয়া চলে’। আপাতত ‘পাহাড় বাইয়া ভালোবাসার নৌকা’ চলার জন্য অন্য যেকোনও বিষয়ের থেকে নদীর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত চীনের। না হলে ভালোবাসার নৌকা বাইবার জন্য হালে পানি পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ