করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। তবে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ না করায় তা চালু করা যায়নি। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল হোসেন আজ সোমবার (১৯ জুলাই) এ কথা জানান।
রুহুল হোসেন জানান, হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে মিড-ফোল্ডের মাধ্যমে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন হাসপাতালে ১০০টি ছোট সিলিন্ডার ও ২৪ থেকে ৩৬টি বড় সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ সংকট হতে পারে।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে যাতে অক্সিজেনের ঘাটতি না থাকে, সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা গেলে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যা বাড়িয়ে ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে ১১৯ জন রোগী ভর্তি হওয়ায় গত বুধবার থেকে ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অতিরিক্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রুহুল হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রতিদিন বাড়ছে নতুন নতুন রোগী। জুলাই মাসের ১৯ দিনেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।