জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সফরকারীদের সংগ্রহ ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান।
দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল খেলছেন আগ্রাসী ভঙ্গিতেই। পাওয়ার প্লের ভালো ফায়দা তুলে নেন দু’জনেই। লিটন ব্যাট করছেন ২৪ রানে, তামিম ৩১ রানে।
এর আগে শুরুতে টস হেরে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ২৯৮ রান। অথচ প্রতিরোধ গড়ে খেলা চাকাভাকে দলীয় ১৭২ রানে (৩৫তম ওভার) ফিরিয়ে রাশ টেনে ধরার সুযোগও ছিল বাংলাদেশের। সেই রাশ ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের বাজে বোলিংয়ে। যার সুযোগটা কাজে লাগান সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। দুজনের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ড। ৮০ বলে করা ১১২ রানের এই জুটি ভাঙে রাজার বিদায়ে। ৫৪ বলে ৫৭ রানে ফিরেছেন রাজা। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১ একটি ছয়। মোস্তাফিজের বলে তার ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক।
সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল সাইফউদ্দিন ৪৯তম ওভারে তিনটি উইকেট নিলেও ততক্ষণে ফুলেফেঁপে উঠেছে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ড। তাতে অবশ্য ৩০০ আটকানো গেছে। ফিরিয়েছেন ৪৩ বলে ৫৯ রান করা বার্লকেও। আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৪ ছয়। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৪৯.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
অথচ শুরুতে স্থায়ী সঙ্গী না পেয়ে একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ওপেনার রেজিস চাকাভাই। তিনটি ভালো জুটি গড়েন। মারুমানির সঙ্গে ৩৬, টেলরের সঙ্গে ৪২ ও মায়ার্সের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিই ভালো সংগ্রহের ভিত এনে দেয় জিম্বাবুয়েকে। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে গেলে গুঁড়িয়ে যায় চাকাভার প্রতিরোধও। ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। তাতে ছিল ৭টি চার ও একটি ছয়।
৮ ওভারে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল সাইফউদ্দিন ৮৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৯.৩ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুইশোতম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহও ৪৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রেখেছেন। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। পূর্ণ ১০ ওভারে দুজনেই রান দিয়েছেন ৪৮ ও ৪৬।