X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামীর হাল ধরবে যে প্রযুক্তিগুলো

হিটলার এ. হালিম
২৪ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৯আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৯

মহামারির এ কালেই আচমকা যেন রকেট-গতিতে এগিয়েছে ডিজিটালাইজেশন। অটোমেশনে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাত সংকটে পড়লেও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পোয়াবারো। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আইটিপ্রো-পোর্টালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের চেয়ে প্রযুক্তিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করছেন উদ্যোক্তারা। প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রযুক্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো দখল করতে যাচ্ছে আগামীর দিনগুলো।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

গত দশক থেকে আলোড়ন সৃষ্টি করা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এখনও উদীয়মান প্রযুক্তি হিসেবেই ধরা হয়। আমাদের জীবনের অংশ হতে এআই-এর এখনও ঢের বাকি। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতি কিন্তু দেখা যাচ্ছে। ছবি ও কথা বোঝা, মোবাইলের পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, নেভিগেশন অ্যাপ ইত্যাদিতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে চিকিৎসা ও জলবায়ু গবেষণায় এর প্রয়োগ আরও বাড়বে।

ফাইভ-জি

ফাইভ-জি মানে কেবল ওয়েবপেজ দ্রুত লোড হওয়া বা ইউটিউব ভিডিও দ্রুত দেখা বোঝায় না। এটি বিস্তৃত একটি ধারণা, অনেকটা বাস্তুসংস্থানের মতো। ফাইভ-জি এমন এক প্রযুক্তি, যা মানুষের জীবনকে সামগ্রিকভাবে গতিশীল ও স্বয়ংক্রিয় করবে। এই প্রযুক্তির সঙ্গে অন্যান্য অ্যাডভান্সড অনুষঙ্গ ও হাইস্পিড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সকল যন্ত্রপাতিকে আরও সহজে ব্যবহার করতে পারবো। ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রকৃতপক্ষে শিল্পখাতের জন্য। আগামীতে শিল্পখাত হবে ফাইভ-জি নির্ভর।

এজ কম্পিউটিং

এজ কম্পিউটিং

এজ কম্পিউটিং নতুন একটি ধারণা। দ্রুত ও কম সময়ে ডেটা প্রসেসিং করবে এ সিস্টেম। ক্লাউডে বিভিন্ন জটিল পদ্ধতির অনুসরণ ছাড়াই ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে বা এজ সার্ভারে ডেটা স্থানান্তর করা যায় এ প্রযুক্তিতে। এটি ডেটা এবং কম্পিউটিংয়ের মধ্যকার গ্যাপও দূর করবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য ৪ কিউবিটের একটি আইবিএম প্রসেসর

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

এখনও বলতে গেলে আঁতুরঘরে আছে এ প্রযুক্তি। তবে সন্দেহ নেই, ভবিষ্যতের কম্পিউটার হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। সুপারকন্ডাক্টর সার্কিটের কারণে এতে অকল্পনীয় গতি পায় প্রসেসর। সাধারণ কম্পিউটার যেখানে হাইভোল্টেজ (১) ও লো ভোল্টেজ (০) বুঝতে পারে, সেখানে কোয়ান্টাম কম্পিউটার আরেকটি ‘দশা’ গণনা করতে পারে। একে বলে কিউবিট। আর এ ধরনের কম্পিউটার পূর্ণগতিতে কাজ শুরু করলে দেখা যাবে সিমুলেশন ঘটিয়ে দিনে দিনেই তৈরি করা যাবে যেকোনও ভ্যাকসিন। এখনও করোনাভাইরাসের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরিতে এ প্রযুক্তির কিছুটা কাজে লাগানো হচ্ছে।

গুগলের ল্যাবে আছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার

তবে এ কম্পিউটারের বিপদও আছে। বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বেষ্টনী মুহূর্তেই ভেঙে ফেলতে পারবে একটি পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটার। আর তাই নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করতেও এ প্রযুক্তি কাজ করবে। প্রথাগত কম্পিউটারের চেয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার কয়েক কোটি গুণ দ্রুতগতির সম্পন্ন। গুগলের কাছে এমন একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার আছে যা কিনা আইবিএম এর সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন সুপারকম্পিউটারের চেয়ে ১৫ কোটি ৮০ লাখ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন!

ব্লকচেইন

ব্লকচেইন

প্রযুক্তির ট্রেন্ডের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে যাচ্ছে ব্লকচেইন। অনেকে মনে করেন, ব্লকচেইন মানেই ক্রিপ্টোকারেন্সি। ব্যাপারটা সেরকম নয়। মোটের ওপর বলা যায়, বিটকয়েন ও অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তির একটি অংশ মাত্র। ব্লকচেইন মূলত তথ্য সংরক্ষণের একটি নতুন নকশা। যাতে আগের মতো বড় বড় ডেটাবেজ তৈরি না করে তথ্যগুলোকে ছোট ছোট ডিজিটাল ব্লক আকারে রাখা হয়। ব্লকগুলো আবার স্থায়ী। একবার তৈরি হওয়ার পর সেই তথ্য-ব্লক আজীবনের জন্য একটি চেইনের অংশ হয়ে যায়। মূলত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেনদেনের তথ্য যখন ব্লকচেইন আকারে থাকে, তখন সেখানে জবাবদিহিতার জায়গাটা থাকে সুস্পষ্ট। আবার এই প্রযুক্তি আরও অনেক ক্ষেত্র নিয়েও কাজ করে যেমন- স্বাস্থ্যসেবা, সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড লজিস্টিকস, বিজ্ঞাপন বাজার ইত্যাদি।

সাইবার সিকিউরিটি

অন্যান্য প্রযুক্তির মতোই উন্নতি ঘটছে সাইবার সিকিউরিটি প্রযুক্তির। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন থ্রেট বা হুমকি সামনে আসায় এই প্রযুক্তিতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে।  হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্যে অবৈধ হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।  ভবিষ্যতেও তারা এ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা আরও ভালোভাবে নিশ্চিতের চেষ্টা করা হবে। ফলে বাড়বে সাইবার সিকিউরিটি নির্ভর প্রযুক্তির চাহিদা।

ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড

ক্লাউড কম্পিউটিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড টেকনোলজি। পাবলিক ক্লাউড রিসোর্সকে বিভিন্নভাবে বিতরণের ব্যবস্থা করবে এটি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দারুণভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণে সময়ক্ষেপণ কমবে। ডেটা হারানোর ঝুঁকি ও ব্যয়ও কমাতে পারবে এ প্রযুক্তি।

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!