জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই ঢাকা ফিরছেন। অন্যদিকে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ায় ঢাকা ছাড়ছেন। রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ গাবতলীতে এমন মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নারীদের।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নড়াইল থেকে ঢাকায় এসেছেন নাজমা বেগম। কয়েক মাইল পথ হেঁটে এসে অটোরিকশার দেখা পেয়েছেন। কয়েক দফা অটোরিকশা বদলে এসেছেন পাটুরিয়াঘাট পর্যন্ত। এরপর ফেরি পার হয়ে পেলেন প্রাইভেট কার। আর তাতে চড়ে আসলেন আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত।
নাজমা বেগম কাজ করেন মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায়। তিনি বলেন, আমাদেরকে কারখানা এখনো খুলেনি, তবে বাসা বদল করার জন্য ঢাকায় আসতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এই ঢাকায় ফিরতে হলো। পুরুষদের মত চাইলেই ট্রাকে উঠতে পারছিলাম না। তাই অটোরিকশা ছিল ভরসা।
ডেভেলপার কোম্পানিতে কাজ করেন ফরিদা বেগম। রাজবাড়ি থেকে ৪ দফা গাড়ি বদলে ঢাকায় এসেছেন। রিকশা, বাইক, সিএনজিতে আসতে খরচ হয়েছে তার ১ হাজার টাকা। ঈদে ১ সপ্তাহের ছুটি পাওয়া বাড়িতে গিয়েছিলেন।
ফরিদা বেগম বলেন, জীবনে কখনো মোটরসাইকেল চড়িনি।আজকে বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেলে চড়তে হলো।পাটুরিয়াঘাট থেকে মোটরসাইকেলে গাবতলী পর্যন্ত এসেছি, রাস্তায় অনেক ভয়ের মধ্যে ছিলাম।
বাবার অসুস্থতার খবর শুনে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে যাবেন শান্তা ইসলাম। ঘন্টাখানেক ধরে আমিন বাজার ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আছেন গাড়ির জন্য। অসংখ্য মোটরসাইকেল থাকলেও তাতে চড়তে চান না তিনি। আবার কয়েকটি মাইক্রোবাস পেলেও ভাড়া বেশি চাওয়ায় উঠতে পারছেন না।
শান্তা ইসলাম বলেন, মাইক্রোবাসে উঠতে বেশ ভয় লাগছে।রাস্তাঘাট তো পুরাই ফাঁকা, পথে কী হয় না হয়, এসব ভেবে ভয় লাগছে।বুঝতে পারছি না কি করবো।
রাজবাড়ী থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় এসেছেন জামাল মিয়া। তিনি বলেন, আমি ট্রাক কিংবা অন্য কোন গাড়িতেই চলে আসতাম। বউ বাচ্চা নিয়ে তো এসব গাড়িতে ওঠা যায় না। তাদের জন্য বাধ্য হয়েই ৫ হাজার টাকায় প্রাইভেট কার ভাড়া করে আসতে হলো।