সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি জান্তা বিরোধী বিক্ষোভসহ নানা কারণে মিয়ানমার কোভিডের ‘সুপার স্প্রেডার’ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। এ অবস্থায় দেশটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশেটিতে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে, এমন খবর দিচ্ছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়র্টাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকেই সংক্রমণ আরও ছড়াচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংকটের ফলে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প পরিসরে চলছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। কিন্তু করোনার পরীক্ষা কার্যক্রমেও ধসে নেমেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে আছে চিকিৎসকের সংকট।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জানান, সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন বন্ধ রেখেছেন। সরকারের সহিংস কর্মকাণ্ড ও গ্রেপ্তারের হুমকির কারণে তারা গোপনে ব্যক্তিগতভাবে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে কিন্তু এটি সামান্য।
টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারজুড়ে বিভিন্ন শহরে অক্সিজেন, মেডিকেল সরঞ্জাম ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাড়ির সামনে হলুদ ও সাদা পতাকা ঝুলিয়ে রাখছে অনেকে। এর অর্থ, তাদের খাবার অথবা ওষুধের প্রয়োজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে সাহায্যের জন্যে হাহাকার চলছে। সরকারের বিরুদ্ধে অক্সিজেনের সংকট তৈরি করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দরা।
তার মতে, দেশটির প্রকৃত পরিস্থিতি কেমন তার সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন। সামরিক শাসনের কারণে খবর পাওয়া জটিল। এমনকি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কেমন তার সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। ফলে রাজনৈতিক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভয়াবহ সংকটের পথে রয়েছে মিয়ানমার। তিনি আশঙ্কা করছেন, সুপার-স্প্রেডার রাষ্ট্রে পরিণত হলে এই অঞ্চলে আরও বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে জান্তা সরকার বলছে, গত পহেলা জুন থেকে দেশটিতে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন।