পটুয়াখালীতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামকে (২২) কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা মো. খলিল মিয়া, মো. নোমান ও মো. নয়ন মিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে আহত রাকিবের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের নীতি-আদর্শ শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে।
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসিক তালুকদার বলেন, ‘এক বছর আগে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুলের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুলের মারামারি হয়েছিল। এর জের ধরেই বুধবার রাতে তাদের মাঝে ফের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং রাকিবুলের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। আমরা এর কঠোর বিচার চাই। ছাত্রলীগ করে অন্যায় করবে এর দায়ভার দল বহন করবে না।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাকিবের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে তেগাছিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাকিবুলের অভিযোগ, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ও তার ভাই রায়হান তার ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।