কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বটতলা এলাকায় রৌমারী-রাজীবপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শ্রমিক সংগঠন সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিকদের একটি পক্ষ শ্রমিক সংগঠনের নামে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। চলমান লকডাউনে সড়কে যাত্রী কমে যাওয়ায় চালকদের একটি অংশ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্বে গত ২৮ জুলাই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানো চালকরা রাজীবপুর থানায় অভিযোগ দেয়। এরই জেরে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত অটোবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা সমবায় কল্যাণ সমিতির সভাপতি শহীদ মিয়া বলেন, ‘চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা চালকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার সংগঠনের অন্তত পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়।’
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবি জানিয়ে এই শ্রমিকনেতা বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, চাঁদাবাজি যেন বন্ধ করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে নিঃস্ব হয়ে পড়বে অটোচালকরা।’
লকডাউনে চাঁদা আদায় উচিত নয় জানিয়ে প্রতিপক্ষ সংগঠন সিএনজি-অটোরিকশা-টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে চাঁদা আদায়ের পক্ষে আমি নই। শ্রমিকদের নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু শ্রমিক নির্দেশনা অমান্য করে চাঁদা আদায় করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে চাঁদা আদায় করা হবে না।’
আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘সংঘর্ষে আমার সংগঠনের অন্তত আট জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও কোনও পক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ দেয়নি। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রমিক সংগঠনের চাঁদা আদায় বন্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘চাঁদা আর আদায় করতে পারবে না, কখনও পারবে না।’