রফতানিমুখী শিল্প কারখানা ১ আগস্ট থেকে খোলার সিদ্ধান্তে কর্মস্থল অভিমুখে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শ্রমিকদের ব্যাপক ভিড় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। শনিবার (৩১ জুলাই) দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা ফেরিগুলোর প্রতিটিতে নামেমাত্র পণ্যবোঝাই ট্রাক। বাকি স্থানগুলোতে কানায় কানায় যাত্রী।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা থাকলেও বাস্তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগ নেই। কর্মস্থলে ফেরার জন্য যে যেভাবে পারছেন যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর এভাবে যাত্রায় অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ক্ষেত্র বিশেষে ১০ থেকে ১৪ চৌদ্দ গুণ ভাড়া।
দৌলতদিয়া থেকে পার হয়ে আসা দর্শনার আবুল হোসেন (৪১) জানালেন, তিনি কাজ করেন গাজীপুরের একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায়। বাড়ি থেকে কাকডাকা ভোরে রওনা হয়ে অনেক কষ্ট ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসতে সক্ষম হয়েছেন। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে উঠতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে যানবাহনের মহাসংকট। গাজীপুর পর্যন্ত ২শ’ টাকার ভাড়া দেড় হাজার টাকা।’
তাহমিনা আক্তার (২৭) নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বললেন, ‘গত রাতে (শুক্রবার) অফিস থেকে ফোন দিয়েছে, সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে চাকরি চলে যাবে! আমি যাবো সাভারের বাইপাইল এলাকায়। কুষ্টিয়া থেকে রওনা হয়েছি।’
পাটুরিয়া ঘাটে আফজাল হোসেন (৪৫) নামে এক ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ‘ঘাটে তেমন গাড়ি নেই সেজন্য এখন প্রচুর চাহিদা থাকায় ভাড়াটা একটু বেশি নিচ্ছি। ভাড়া বেশি না নিলে তো লোকসান হয়ে যাবে, কারণ রাস্তায় বিভিন্ন জায়গা ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হয়।’ পাটুরিয়া থেকে গাবতলী কত টাকা ভাড়া নিচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যেকোনও জায়গায় নামলেই প্রতি যাত্রীর জন্য দেড় হাজার টাকা।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কাযার্লয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানালেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য আটটি ফেরি নিয়োজিত আছে। আগামী কাল থেকে যেহেতু পোশাক কারখানা খোলা সেজন্য বেশ কিছু যাত্রী এক প্রকার জোর করেই ফেরিতে উঠছেন। বাধ্য হয়েই তারা যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীও পারাপার করছেন।