করোনাভাইরাস রোধে দেশব্যাপী সরকার আরোপিত কঠোর লকডাউন চলছে। এছাড়া গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমতাবস্থায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুইঘর এলাকার আলী আকবর একাডেমি নামে একটি স্কুল খোলা রেখে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) স্কুলটিতে তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষা চলাকালে স্কুলের সামনে উপস্থিত থাকা কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক শিশুদের স্কুলে উপস্থিত রেখে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিয়েছে। করোনার কারণে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তারা বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায়ের উদ্দেশে পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক স্কুলে উপস্থিত করেছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, এই করোনাকালে আমরা খুব আর্থিক সংকটের মধ্যে আছি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তা না ভেবে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বেতন, পরীক্ষার ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করে পরীক্ষা নিচ্ছে। তারা শিশুদের করোনা ঝুঁকির কথা ভাবেনি। স্কুল চালু রাখায় কোমলমতি শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানান অভিভাবকরা। এতে তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে আলী আকবর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও মালিক মো. অলিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমাদের স্কুলের সব শিক্ষকরা মিলে ২০ মার্কের একটি পরীক্ষা নিয়েছেন। এটা কোনও সেমিস্টার পরীক্ষা নয়।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, ‘এ অবস্থায় সশরীরে শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত করে পরীক্ষা, ক্লাস বা কোনও কিছুই নিতে পারবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’