রফতানিমুখী শিল্পকারখানার কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রবিববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শিথিল করেছে সরকার। যেসব শ্রমিক রবিবার বাড়ি থেকে আসতে চান, তাদের জন্য গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে শ্রমিকরা আসতে চাইলে, সেই বাস পুলিশ ধরবে না বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
একইসঙ্গে শ্রমিকদের কারখানায় আসার জন্য বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত কোনও মালিক বাধ্য করছে না বলেও জানান ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘কারখানা চালু করতে সব শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। আপাতত, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়িতে যায়নি ও যারা স্থানীয় শ্রমিক তাদের দিয়ে কারখানা চালু করা হচ্ছে। তবে শ্রমিকরা হয়ত নিজ থেকে আসা শুরু করেছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, ‘যারা ঈদে বাড়ি যাননি তাদের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। কাজেই যারা ঈদে বাড়ি গেছেন, তারা লকডাউন শিথিল হলে কাজে যোগ দেবেন। তাদের কারো চাকরি যাবে না।’
এদিকে শিল্প-কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রবিবার (১ আগস্ট) সারাদিন সব গণপরিবহন চলাচল শিথিল করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহনমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। তিনি শনিবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এখন থেকে রবিবার সারাদিন গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।’
এর আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরতে না পেরে বিক্ষোভ করে। নানা স্থান থেকে সড়ক অবরোধের খবরও পাওয়া যায়। পরে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ট্রাক ও বাস চালুর অনুমতি দেয় স্থানীয় প্রশাসন।