করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ শয্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন জাতীয় দলের শুটার উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা। শুরুতে শরীরের অবস্থা খারাপ হলেও ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। রবিবার রাতে করোনা নেগেটিভ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন লালমনিরহাটের এই ক্রীড়াবিদ। এই ক’দিনের অভিজ্ঞতায় জাকিয়ার উপলব্ধি, ‘মনে হয় যেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি।’
ঈদের আগে বাবা তসলিম উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর জাকিয়াও পজিটিভ হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দুজনকেই লালমনিরহাট থেকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তবে জাকিয়ার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আশার কথা, ১৭ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে নেগেটিভ হয়ে বাসায় ফিরতে পেরেছেন। এর আগেই অবশ্য তার বাবা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন।
বাসায় ফিরে জাকিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, “এ ক’দিন কীভাবে যে ছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কম ছিল। ফুসফুসও সংক্রমিত। ডাক্তাররা তো শুরুতে আশাই দেখাতে পারেননি। বাঁচবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না। তবে আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা এখন আমি আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছি।”
সবার জন্য জাকিয়ার সতর্কবার্তা, ‘আমরা সবাই যেন সবকিছু মেনে চলি। করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে পারি। আমার মতো যেন অবস্থা কারও না হয়। আমি তো মনে করেছিলাম, এই যাত্রায় সুস্থ হয়ে নাও ফিরে আসতে পারি। বলতে পারেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি।’
করোনা নেগেটিভ হলেও জাকিয়ার শরীর এখনও অনেক দুর্বল। পুরোপুরি ফিটনেস পেতে অনেক সময় লাগবে।
শুটিংয়ে জাকিয়া আছেন অনেকদিন ধরেই। বিকেএসপিতে শুটিং নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। এক যুগের ক্যারিয়ারে পদকও কম জেতেননি। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় শুটিং প্রতিযোগিতায় সিনিয়র বিভাগে অংশ নিয়ে আসছেন। ২০১৭ সালের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সেরাও হয়েছেন। ঘরোয়ার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ২০১৬ ও ২০১৯ এসএ গেমসে অংশ নেন। রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। এছাড়া ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয় তার। হয়েছিলেন চতুর্থ।