ওমান উপকূলে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ট্যাংকার এমভি মারসার স্ট্রিট-এ হামলার পেছনে ইরান জড়িত, এমন দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের তদন্ত দলের। শুক্রবার বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, মারসার জাহাজে হামলায় ব্যবহার করা ড্রোনটি ইরানের তৈরি।
গত জুলাইয়ে ওমান উপকূলে মারসার জাহাজে হামলায় জড়িতে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একদল বিশেষজ্ঞ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত বলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউএসএস রোনাল্ড রিগান থেকে পাঠানো তদন্তকারী দলটি ওমান উপকূলের ওই জাহাজে ড্রোন হামলার প্রমাণ পেয়েছে। ড্রোনটি সামরিক বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে। সেদিনের হামলায় জাহাজের দুই নাবিক প্রাণ হারান।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদনে এসেছে, ‘ইরানের তৈরি ড্রোন ‘কামিকাজি’ দিয়েই পরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হয়। এ ধরনের হামলা এই অঞ্চলে ক্রমেই বাড়ছে’।
গত ৩০ জুলাই ওমান উপকূলে হামলার শিকার হয় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ট্যাংকার এমভি মারসার স্ট্রিট। হামলায় এক ব্রিটিশ ও এক রোমানিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়। তখনই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তার দাবি এই হামলায় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে আসছে তেহরান।