মজুত শেষ হওয়ায় বরগুনা সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলাতেও টিকাদান আপাতত বন্ধ। টিকার বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় সিনোফার্মের ৮০ হাজার টিকার চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৩০ হাজার। বর্তমানে বেতাগী ও বামনা উপজেলায় এক হাজার ১৩৩ ডোজ টিকা রয়েছে, যা আজকের (বুধবার) মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বরগুনায় এ পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার ৮৬০ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের কোভিশিল্ডের ৪৭ হাজার ২৬০ ডোজ এবং চীনের সিনোফার্মের ৬৩ হাজার ৪৮০ ডোজ।
জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলা ছাড়াও আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলাতেও টিকার মজুত শেষ হওয়ায় টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। বামনা ও বেতাগী উপজেলাতেও টিকা প্রায় শেষ পর্যায়ে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পাথরঘাটা ও আমতলীতে টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
বরগুনা সদর হাসপাতালে টিকা নিতে এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় টিকা প্রত্যাশীরা। টিকা নিতে আসা সবাই মেসেজও পেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রে এসে দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকা না পেয়ে ফিরে যান তারা।
টিকা নিতে আসা আল-আমিন বলেন, আমরা মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়ে টিকা নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এখন এসে শুনি টিকা শেষ। আবার কবে আসবো কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
আরেক টিকা প্রত্যাশী হৃদয় বলেন, মাকে নিয়ে টিকা দিতে এসেছিলাম, কিন্তু পেলাম না। কত টিকা মজুত ছিল আর কত লোক নিতে পারবে, তা না জেনেই আমাদের এসএমএস দেওয়া হয়েছে। এখন আবার কবে এই টিকা পাবো কে জানে!
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, টিকা মজুত থাকতে থাকতেই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেছি এবং তিন দিন আগেই বরগুনায় টিকা আসার কথা ছিল। টিকার বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে নতুন করে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। টিকা আসার পর বরগুনায় আবার কার্যক্রম শুরু হবে।