স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার টিকা নিতে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-ঢামেক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এই আহ্বান জানান ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে।’
ঢামেক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মার্চে দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে স্বাস্থ্য অধিদফতর এই রোগের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অন্যতম একটি। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনশ’ শয্যা নিয়ে করোনার চিকিৎসা শুরু করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর পর্যায়ক্রমে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়। আরও দুটি ভবন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের কিছু অংশ মিলিয়ে বর্তমানে ঢামেকে করোনা রোগীদের জন্য প্রায় ৮০০ শয্যা রয়েছে। পাশাপাশি আইসিইউ ও এইচডিইউ’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যালে করোনার টিকা দেওয়া হয়। শুরুতে একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হতো। টিকা নিতে আসা মানুষের চাপ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও একটি কেন্দ্র স্থাপন করে। বর্তমানে এই দুই কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ টিকা নিচ্ছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই ঢামেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রমেও এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এখানে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানে ভ্যাকসিন নিতে আসা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘সরকারের টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি জানান, বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চার কোম্পানির প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ১২৯ জন, আর বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নিয়েছেন ৩ হাজার ৭৪ জন।
তিনি বলেন, ‘করোনা রোগীর চাপ আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি আছেন সাড়ে সাতশ’। এখন কিছু বেড ফাঁকা থাকছে। নতুন রোগী আসলে ভর্তি করা যাচ্ছে।’