X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০২১, ১৩:১৬আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২১, ১৩:১৬

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে আট দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এক নারী। গত ৬ আগস্ট সকাল থেকে অনশন শুরু করেন তিনি। উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামের রবিন দাসের (২৬) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রবিন কোন্দারদিয়া গ্রামের প্রিয় দাসের (৫০) ছেলে। ওই নারী তার বাড়িতে আসার পর রবিন দাস বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সে পেশায় সেলুন ব্যবসায়ী। ওই নারীর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে অনশনরত নারী জানান, চার-পাঁচ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদরে রবি দাসের সঙ্গে তার দেখা হয়। দেখা হওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছর দেড়েক সম্পর্ক চলার পর রবিন তাকে ঢাকায় নিয়ে একটি কালী মন্দিরে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ঢাকার পোস্তখোলা এলাকায় তারা ঘরভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। চার-পাঁচ মাস একসঙ্গে সংসার করার পর রবিন তাকে নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী এলাকায় মেয়েটির খালুর বাড়িতে বেড়াতে যান। দুই দিন পর রবিন ‘আমি বাড়িতে যাবো, দুই তিন দিন পরে ফিরে এসে তোমাকে নিয়ে যাবো’ এই বলে কৌশলে পালিয়ে যান।

তারপর আর রবিন ফিরে না আসায় খোঁজখবর নিয়ে দাদপুর ইউনিয়নে রবিন দাসের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে হাজির করে একটি সালিশ-বৈঠকের ব্যবস্থা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। সালিশ বৈঠকে তাদের আপস-মীমাংসা না হওয়ায় মেয়েটি গোপালগঞ্জে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে রবিন দাস (২৬), তার বড় ভাই সুকুমার দাস (৩০) ও তার বাবা প্রিয় দাসের (৫০) নামে মামলা করেন। ওই মামলা থেকে সুকুমার দাস ও প্রিয় দাস জামিন পান ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল। এ ছাড়া ওই মামলায় রবিন দাস জেল খাটেন। বর্তমানে রবিন দাসও জামিনে আছেন।

তিনি আরও জানান, তার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীর ঘরে থাকাকালে রবিন দাসের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রবিন দাসকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা প্রিয় দাস ও বড় ভাই সুকুমার দাস বলেন, ‘রবিনের সঙ্গে ওই নারীর কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়েও হয়নি। এ নিয়ে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু মেয়েপক্ষ চেয়ারম্যান ও উপস্থিত কারও কথা মেনে না নেওয়ায় কোনও মীমাংসা হয়নি। পরে ওই নারী গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। এতে রবিন জেলও খেটেছে। বর্তমানে সে জামিনে আছে। সালিশে ওই নারীকে কিছু টাকাপয়সা দিতে চেয়েছিলাম। তাতে তিনি রাজি হননি। তার পরিবারের কোনও লোকজন এখন পর্যন্ত আসেনি। আসলে হয়তো একটা ফয়সালা হবে।’

দাদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বছর খানেক আগে ওই মেয়েটি আমার পরিষদে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষের লোকজনকে নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করি। মেয়ে পক্ষ মেনে না নেওয়ায় কোনও ফয়সালা হয়নি। ইতোমধ্যে ওই মেয়ে রবিন দাসের বাড়িতে এসে উঠেছে। মেয়ের অভিভাবকদের আসার কথা ছিল, তারা না আসায় কোনও মীমাংসা করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে মেয়েটি রবিন দাসের বাড়িতে আট দিন ধরে অবস্থান করছেন।’

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ অধিকার প্রধান   
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ অধিকার প্রধান  
দক্ষিণ চীনে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ মানুষকে
দক্ষিণ চীনে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ মানুষকে
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা