X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমর সেনের জীবন ও কাব্যসত্তা

মোহাম্মদ আব্দুর রউফ
২৩ আগস্ট ২০২১, ২১:০৪আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২১, ২১:০৪

সমর সেনের (১৯১৬-১৯৮৭) ব্যক্তিপরিচয় দিতে গিয়ে অনেক সময় পিতা ও পিতামহের নাম উল্লেখ করতে দেখা যায়। এমনকি বুদ্ধদেব বসুও এই কাজটিই করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এভাবে– ‘ইনি ডক্টর দীনেশ সেনের পৌত্র ও শ্রীযুক্ত অরুণ সেনের পুত্র। এখনো এঁর  ছাত্রাবস্থা, এবং ছাত্র হিসেবেও ইনি পয়লা নম্বরের।’ যার ঠাকুরদা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক, যার বাবা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক, তার তো ছাত্র হিসেবে পয়লা নম্বর হওয়ারই কথা। মূলত কলকাতা বাগবাজারের ঐতিহ্যমণ্ডিত এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মেছিলেন সমর সেন। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) অবধি বরাবরই সমর সেন পয়লা নম্বরের ছিলেন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা নিয়েছিলেন। একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য সময়ে সময়ে বৃত্তি অথবা নানারকম পদকপুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সোভিয়েত মুল্লুকে গিয়ে (১৯৫৭) রুশভাষা পরীক্ষাতেও প্রথম হয়েছিলেন।

দুই 
বৈচিত্র্যময় কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হলেও কোথাও সুস্থির হতে পারেননি সমর। প্রথমে প্রভাতকুমার কলেজে (কাঁথি) অধ্যাপনা শুরু (১৯৪০) করলেও খুব একটা মনোনিবেশ করতে পারেননি। একই বছরে চলে যান দিল্লির রামযশ কমার্শিয়াল কলেজে। এখানে বেশ কয়েক বছর অধ্যাপনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যাচেলর জীবনে খানিকটা নিঃসঙ্গ ছিলেন; ছিলেন অর্থকষ্টেও। পড়তেন এবং পড়াতেন। সময় কাটানো প্রসঙ্গে ১৭.১০.১৯৪০ তারিখের চিঠিতে লিখছেন–‘ভাবছি এবার থেকে গোটাকতক আলপিন মেঝেতে ফেলে আলো নিবিয়ে দিয়ে সেগুলো একে একে খুঁজে বের করবার চেষ্টা করব।’ তবে খুব বেশিদিন একাকি থাকতে হয়নি সমরকে। দিল্লিতে সমর সেন সুলেখাদের বাড়ির সামনেই থাকতেন। সুলেখার বাবা-মা সুলেখার সুপাত্র সন্ধানের জন্য সমরকে দায়িত্ব দিয়েছিল। সমরও সুবোধ বালকের ন্যায় যথারীতি দায়িত্ব পালন করতেন। মাঝেমধ্যে পাত্রের খোঁজখবর এনে দিতেন। কিন্তু পছন্দসই হতো না। আখেরে নিজেই নিজের বিয়ের প্রস্তাবটা তুলেছিলেন। সমর সেন স্মরণে মহাশ্বেতা দেবীকে ‘অনুপুষ্ট’তে (১৯৮৮) লিখতে দেখি–‘একদিন সমরবাবু বললেন, আমার সঙ্গে বিয়ে দিলে হয় না? –বলেই সবেগে প্রস্থান।’  প্রস্থান করলেও বেশিদূর যেতে পারেনি সমর সেন। এই দিল্লিতে এখানেই সুলেখার সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন (১৯৪১) সমর সেন। সুলেখার ডাক নাম ছিল খুকি, আর সমরের খোকা। শুরু হয় খোকাখুকির দাম্পত্য জীবন।

তিন
বছর কয়েকের মধ্যেই অধ্যাপনা ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন (১৯৪৪) সমর সেন। ‘সার্ভিস এ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি’ নামে একটি বিজ্ঞাপনি সংস্থায় সম্পৃক্ত হলেও খুব অল্পদিনই ছিলেন সেখানে। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে বেশ কয়েক বছর। এরপর পাড়ি জমান (১৯৫৭) সোভিয়েত রাশিয়ায়। ‘প্রগতি প্রকাশনা’য় অনুবাদের কাজ নেন। তলস্তয়, চেখভের ন্যায় সাহিত্যিকের লেখা রূশ থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। চেখভের ‘থ্রি সিস্টার্র’ তাঁর অন্যতম অনুবাদকর্ম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে লন্ডন, প্যারিসসহ য়ুরোপীয় নামিদামি শহর পরিভ্রমণ করলেও সমরের বিবেচনায় লেলিনগ্রাদ ছিল ‘নোবলেস্ট সিটি’। এখান থেকেই হয়তোবা মার্কবাদের প্রতি সমরের অনুরাগ জন্মেছিল। সেই অনুরাগ নিয়েই স্বদেশসিটি কলকাতায় (১৯৬১) প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সমর। স্টেটম্যান, হিন্দুস্থান, হিন্দুস্থান স্টান্ডারস, নাওসহ নানা পত্রপত্রিকায় কাজ করলেও নীতিনৈতিকতা ও মতাদর্শে খাপ না খাওয়ায় কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছিল। আখেরে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফ্রন্টিয়ারস (১৯৬৮)। শেষদিন পর্যন্ত এই ফ্রন্টিয়ারস এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। চাইলেই নিজেকে দুধেভাতে ডুবিয়ে রাখতে পারতেন। সেই বিদ্যাবুদ্ধি, সুযোগ ও সামর্থ্য তার ছিল। জাগতিক সুখসাফল্যের শত রাস্তা খোলা থাকলেও বামেই হেঁটেছিলেন তিনি। মহাশ্বেতা দেবীর ভাষায়, পাওয়া ছেড়ে না-পাওয়ার দিকে গমন করেছিলেন। একাডেমিক বৃত্তি, জগত্তারিণীসহ নানাবিধ পয়পুরষ্কার পাওয়া এককালের মেধাবি ছাত্রটি গোদা ছাতা বগলে করে ট্রামে অফিসে আসতেন-যেতেন।                        

চার
স্কটিকচার্চ কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রবয়সেই সমর সেন কবিতা লিখতেন। প্রথম কবিতা প্রকাশের শুভসূচনা ঘটেছিল আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা শ্রীহর্ষে (১৯৩৩)। কবিতাটির নাম ছিল ‘তুমি ও আমি’। একটুআধটু অনুবাদও করতেন। ‘অভিশাপ’ কবিতাটির ইংরেজি অনুবাদে মুগ্ধ হয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪); মুগ্ধ হয়েছিলেন সমরের ব্যক্তিত্বে-কবিত্বে ও প্রাণপ্রাচুর্যে। মূলত ‘কবিতা’ দিয়েই বুদ্ধদেবের সঙ্গে সমরের প্রথম পরিচয় ঘটেছিল। সেই পরিচয় খুব দ্রুতই প্রণয়ে প্রাণবন্ত হয়েছিল। সমরকে তিনি নিযুক্ত করেছিলেন (১৯৩৫) ‘কবিতা’র সহকারী সম্পাদক পদে। সমরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন যথাযোগ্য মানে ও মর্যাদায়। ফলে, তৃতীয় বছরেই পদোন্নতি ঘটেছিল যুগ্মসম্পাদক পদে। মূলত কবিতার কাছেই সমর তাঁর জীবনযৌবনকে মেলে ধরেছিলেন। রবীন্দ্রজীবনের শেষ দশকে সমর সেন কবিতার ভুবনে এলেও রবীন্দ্রনাথের কাব্যরীতি ও আদর্শ গ্রহণ করতে পারেননি। বেদ-উপনিষদের জগতে খেয়া পারাপার করেননি। রোমান্টিকতার ন্যায় কবিতার মৌল উপাদান পরিত্যাগ করেছিলেন। হেঁটেছিলেন নতুন কাব্যপথ ও পদ্ধতিতে। যাপিত জীবন ও জনপদের রুঢ় বাস্তবতা দিয়েই কাব্যশরীর পরিপুষ্টি সাধন করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সোজাসাফটা ঘোষণা–‘আমি রোমান্টিক কবি নই, মার্কসিস্ট।’ বানিয়েছিলেন কয়েকটি কবিতা (১৯৩৭) শিরোনামে একখানি কবিতাগ্রন্থ। বিএ শ্রেণিতে পাওয়া পুরস্কার স্বর্ণপদক বিকিয়ে নিজেই নিজের গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন। উৎসর্গ করেছিলেন প্রিয় ব্যক্তিত্ব কমরেড মুজফফর আহমেদকে। 
কলকাতার মধ্যবিত্ত ও নাগরিক জীবনের ক্লেদ ও ক্লান্তি  তাঁর কাব্যচিন্তায় ব্যাপক উপস্থিতি। সেই সঙ্গে মার্কসবাদী চিন্তাচেতনাও। এসব কারণে সমর সেনের কাব্যচিন্তায় প্রায়শই ‘মার্কসিস্ট’ অথবা ‘নাগরিক কবি’ অভিধার প্রলেপ প্রযুক্ত করতে দেখা যায়। বুদ্ধদেব বসু ‘কবিতা’র আষাঢ় ১৩৪৪ সংখ্যায় আলোচনা করেছিলেন ‘নব যৌবনের কবিতা’ শিরোনামে। সেখানে বুদ্ধদেবকে লিখতে দেখি–‘সমর সেন শহরের কবি, কলকাতার কবি, আমাদের আজকালকার জীবনের সমস্ত বিকার, বিক্ষোভ ও ক্লান্তির কবি। ঠিক যেন শহরের সুরটি ধরা পড়েছে তাঁর ছন্দে।’ মূলত  মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি হিসেবে স্বশ্রেণির শ্রেণিস্বরূপ উন্মোচনে সমর সেনের স্বাতন্ত্রিক শিল্পসত্তার পরিচয় সুচিহ্নিত। মধ্যবিত্তের যাপিত-জীবন ও জনপদের অগণিত গলিঘুঁজি পেরিয়েই তাঁর সামনে এগিয়ে চলা। বড় হওয়ার পূর্বেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বড় হওয়ার নিদারুণ জীবনযন্ত্রণা। তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন তাঁর কবিতার বিপন্ন নায়ক। ক্লান্ত কবিকণ্ঠে ফুটে উঠেছিল বিপন্ন আত্মবিলাপ–‘মাঝে মাঝে ক্লান্তভাবে কী যেন ভাবি–/ হে প্রেমের দেবতা, ঘুম যে আসে না, সিগারেট টানি/ আর শহরের রাস্তায় প্রাণপণে দেখি/ ফিরিঙ্গি মেয়ের উদ্ধত নরম বুক।’ (কয়েকটি কবিতা)

পাঁচ
জীবন-জীবীকার যাতাকলে পিষ্ট জনজীবন। বেপরোয়া বিকৃত বিস্তার, নগর-নোংরামি, নীতি ও নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়, ক্লান্ত হৃদয়হীন যৌনাচারে শহুরে জীবন ও জনপদ বিপর্যস্ত। প্রেমহীন যৌনাভ্যাস ও ক্লান্তিকর যন্ত্রজীবন থেকে বাঁচার তীব্র আকুতি–‘কত অতৃপ্ত রাত্রির ক্ষুধিত ক্লান্তি/কত দীর্ঘশ্বাস/কত সবুজ সকাল তিক্ত রাত্রির মতো/ আর কতদিন!’ সমর সেন উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, জীবনযন্ত্রণা ও অবক্ষয়ের শিকড় শহুরে জীবনে সুগভীরে প্রথিত। বণিক ও বুর্জোয়া সভ্যতার নাগপাশে বন্দি নগরজীবন। প্রতি মুহূর্তে শুষে নেয় জীবনের জীবনীশক্তি। আস্তে আস্তে সমরের কাব্যদর্শন ও দিগন্তে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। হতাশার গভীর তলদেশ থেকেও তিনি আশার আলো দেখতে পান। দেখতে পান মহুয়ার দেশের সুমধুর স্বপ্নসুধা; নীল ও নীলাঞ্জনার চোখে সমুদ্রের সুখসৌন্দর্য ও সুগভীরতা। মার্কসবাদেই স্বস্তি ফিরে পেতে চান তিনি। ‘অপরের শস্যলোভী, পরজীবী পঙ্গপাল/পিষ্ট হবে হাতুড়িতে, ছিন্ন হবে কাস্তে।’ তবে মার্কবাদী চেতনায় আকৃষ্ট হলেও এঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিতেন না। কথা ও কাজে দ্বিচারিতা দেখে কমিউনিস্ট আন্দোলন থেকে অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। রাজনীতি মানেই শেষ পর্যন্ত মানুষ ঠকানো-খেলা। সেই খেলার দর্শক হতে চাননি তিনি। ‘নৈরাজ্য আর লাল ধ্বংস’ দেখে তিনি হয়েছিলেন নিঃসঙ্গ ও নিঃস্তব্ধ।  

ছয়   
নাগরিকতা ও রাজনৈতিক জীবনদর্শন ছাড়াও সমর সেনের কবিতা ছিল দারুণভাবে জীবনঘনিষ্ঠ। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা (১৯৪৬), দেশভাগকালে (১৯৪৭) পূর্বপুরুষের বসতভিটে ও বাস্তু হারানো সর্বস্বান্ত মানুষের হৃদয়ফাটা হাহাকার তিনি শব্দসমবায়ে ধারণ করতে চেয়েছেন। সমর সেনের কবিতা (১৯৫৪) গ্রন্থের ‘নষ্টনীড়’ এমনই একটি কবিতা। কবিতাটি নামে রবীন্দ্রগল্পের সাযুজ্য হলেও বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। এখানে চারু-ভূপতির একক বেদনা নয়; একটি জাতিগোষ্ঠীর উদ্বাস্তু হওয়ার বিপুল বেদনাকেই ধারণ করতে চেয়েছেন। সহস্রবর্ষযাবত এই জনপদের মানুষ পাশাপাশি সহঅবস্থানে–সুবন্ধনে আবদ্ধ ছিল। ঐ বন্ধনই পরিণত হলো বিদ্বেষে। পরস্পরের মধ্যে জন্ম নিল অবিশ্বাস–অসন্তোষ। সঞ্চারিত হলো হিংসা ও বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, ধর্ষণ, খুনের ক্ষুধায় নরমাংসলোভী বন্যব্যাঘ্রের ন্যায় মানুষ মানুষ হত্যায় মেতে উঠলো। শহর পরিণত হয় শ্মশানে। মন্দিরে দিগম্বর কালী, শবাসনে তান্ত্রিকেরা স্তব্ধ, দিনের ভাগাড়ে নামে রাত্রের শকুন, রক্তমাখা হাড়, সাজানো বাগান–হাড় হিম করা এসব চিত্র ও চিত্রকল্পে সমসাময়িক সময় ও সমাজের নিষ্ঠুরতা ধারণ করতে চেয়েছেন কবি। মানুষ তো পাখি নয়। পাখির ন্যায় ডানা মেলে এক শাখা থেকে অপর শাখায় উড়ে যেতে পারে না। এই মা-মৃত্তিকাকে শরণ করেই তাকে এগুতে হয়। পদেপদে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা। সমরকে লিখতে দেখি–‘নষ্টনীড় পাখি কাঁদে আমাদের গ্রামে/রক্তমাখা হাড় দেখি সাজানো বাগানে।’ যুগযুগ ধরে, কালকাল ধরে সাজানো বাগান শ্মশানে পরিণত হওয়ার নিদারুণ প্রসঙ্গ সমর সেনের কবিতার ভাববস্তু।

সাত
খুব বেশিদিন কাব্যসাধনা করেননি সমর সেন। কয়েকটি কবিতা (১৯৩৭) থেকে সমর সেনের কবিতা (১৯৫৪) পর্যন্ত একযুগ অর্থাৎ বারটি বছর। যাপিত জীবনের ন্যায় সাহিত্য সাধনাতেও তিনি বেশ বাকসংযমী ছিলেন। লেখালেখিতে তিনি সহজসরল শব্দ ও ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। গদ্যছন্দে লিখলেও ছন্দবোধের পরিচয় ছিল সুষ্পষ্ট। ঘোষণা দিয়েই কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ছেড়ে দিয়েছিলেন বাংলা লেখালেখি। প্রান্তজীবনে লিখেছিলেন দুর্দান্ত স্মৃতিকথা বাবুবৃত্তান্ত (১৯৭৮)। কবিতা, সাহিত্য, শিল্পসংস্কৃতি, সাংবাদিকতা সবমিলিয়েই সমর সেন। যাপিত জীবন ও কাব্যসত্তা সব দিক থেকেই তিনি ছিলেন দারুণভাবে জীবন ও জনপদ-ঘনিষ্ঠ। 

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
কাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সিনেমা সমালোচনাকাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সর্বাধিক পঠিত
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি