X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিংক ড্রাগনে মুসার চমক, শুরুতেই বিক্রি ১০ লাখ টাকা

নয়ন খন্দকার, ঝিনাইদহ
২৬ আগস্ট ২০২১, ১০:০৬আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১০:০৬

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের আবাদ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন হারুন অর রশীদ মুসা। পেশায় শিক্ষক মুসা ত্বীন, অ্যাভোকাডোর পর এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন পিংক রোজ জাতের বড় ড্রাগন ফল। যে ফলের এক একটির ওজন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। চারা, সেচ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ পাঁচ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা। ইতোমধ্যে উৎপাদিত পিংক রোজ ড্রাগন বিক্রি করে তিনি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন। কৃষিতে এলাকাবাসীর কাছে মুসা এখন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হারুনুর রশীদ মুসা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

নিজের পরিশ্রম ও সাফল্যের বিষয়ে হারুনুর রশীদ মুসা বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে আপেল কুলের আবাদ করি। এরপর পেয়ারা, মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের আবাদও করেছি। গত পাঁচ বছর আগে ড্রাগন ফলের আবাদ শুরু করি। এছাড়া অ্যাভোকাডো ফলেরও আবাদ করেছি। বর্তমানে ১১ বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ রয়েছে। এরমধ্যে পিংক বড় জাতের ড্রাগনের আবাদ রয়েছে পাঁচ বিঘা জমিতে।

উৎপাদিত ড্রাগন ফল বাগান থেকে চলে যায় ঢাকার আড়তে তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে চারাসহ তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। চারা লাগানোর ৬ মাস পর ফল পাওয়া যায়। ড্রাগন গাছ একবার লাগালে ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে। বাজারে অন্যান্য ড্রাগনের ফল যখন বিক্রি শেষ হয়ে যায় তখন পিংক রোজ ড্রাগন ফল উঠে। অর্থাৎ পিংক বড় জাতের ড্রাগন ফল একটু দেরিতে উঠে। যে সময় বাজারে ড্রাগন ফল খুবই কম থাকে। এ কারণে দামও ভালো পাওয়া যায়।

করোনাকালে ড্রাগন ফলের বাজার মন্দা গেলেও পিংক রোজ জাতের ড্রাগন ফল ২৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

মুসা বলেন, এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে ড্রাগন ফল তুলছি। বাগান থেকে ক্যারেটে করে ফল ভর্তি করে পাঠাচ্ছি ঢাকার ওয়াচঘাটে। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার বেশি ড্রাগন ফল বিক্রি করেছি। এ সিজনের আগামী দুই-তিন মাসে আরও প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মতো ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষি কাজে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা বাগান পরিদর্শন করছেন। অনেকে বাগান থেকেও ফল সংগ্রহ করছেন বলে জানান মুসা।

শিক্ষক মুসার ড্রাগন ফলের বাগান স্থানীয় কাগমারী গ্রামের ইসমাইল হোসেন সিরাজী জানান, মুসা পেশায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফলের আবাদ করে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। নতুন নতুন ফলের আবাদ করে তিনি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। এখন তিনি অন্যান্য কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই তার কাছে কৃষি পরামর্শসহ চারা কিনতে আসছেন।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, মুসা একজন ইনোভেটিভ কৃষক। তার বাগানে শুধু ড্রাগন নয়। মাল্টা, অ্যাভোকাডো, ত্বীনসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের আবাদ রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমি নিজেই তার প্রতিটি বাগান পরিদর্শন করেছি। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় তাকে প্রশিক্ষণেও পাঠানো হয়। মুসার মতো কৃষি উদ্যোক্তারা দেশের কৃষিক্ষেত্রে দারুণ অবদান রাখছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।



/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন