X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডেল্টায় ধূলিসাৎ ‘হার্ড ইমিউনিটি’র স্বপ্ন?

বিদেশ ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫০আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২১, ১৯:০৮

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, কোভিড-১৯-এর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত হার্ড ইমিউনিটি অর্জন কি এখনও সম্ভব?

বৈশ্বিক জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মানুষ কোনও রোগের টিকা গ্রহণ বা আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন নতুন সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেওয়ার কারণে এই মহামারিতে এটি অর্জন করা যাবে কিনা তা নিয়ে বির্তক রয়েছে।

এপিডেমিওলজিস্ট মিরসিয়া সোফোনিয়ার মতে, প্রশ্ন যদি হয় শুধু টিকাদানের ফলে আমরা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব? এর উত্তর হলো: না।

তিনি জানান, হার্ড ইমিউনিটি দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমটি হলো, ভাইরাসের অন্তর্নিহিত সংক্রামতা এবং সংক্রমণ ঠেকাতে টিকার কার্যকারিতা। এই মুহূর্তে কার্যকারিতা নেই।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আলফার চেয়ে মোটামুটি ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। মূল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আলফা ছিল দ্বিগুণ সংক্রামক। মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ভাইরাসের কার্যকারিতা যত বাড়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের নির্দিষ্ট ন্যূনতম জনসংখ্যার মাপকাঠিও বেড়ে যায়।

আরেক এপিডেমিওলজিস্ট অ্যান্টয়নি ফ্লাহল্ট বলেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, এটি একেবারে সাধারণ হিসাব’। তিনি জানান, মূল ভ্যারিয়েন্টের পুনরায় উৎপাদনের (রিপ্রোডাকশন রেট বা আর রেট) ছিল শূন্য ও তিন-এর মধ্যে। এর অর্থ হলো, প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তি অপর তিনজনে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মানুষের রোগ-প্রতিরোধ গড়ে উঠলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা যেত।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু যদি আর রেট হয় আট, যেমনটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে দেখা যাচ্ছে, তাহলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের রোগটি প্রতিরোধ করতে সমর্থ হতে হবে।

যদি ডেল্টার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ হত তাহলে ৯০ শতাংশের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা সম্ভব ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবতশত, টিকার কার্যকারিতা অনেক কম। সূত্র: এএফপি

/এএ/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক