X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়িক বিবাদে হত্যার শিকার হন মতিন: পিবিআই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২৯ আগস্ট ২০২১, ১৯:৩২আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার গুল্টা বাজার এলাকায় আব্দুল মতিন (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার পর বিদ্যালয়ের টয়লেটে লাশ ফেলে রাখে খুনিরা। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই হত্যা রহস্য। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মকর্তারা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন। এরপর আটক করা হয় চার জনকে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। নাম এসেছে আরও একাধিক ব্যক্তির। তাদের আটকেও অভিযান চলছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে তালম গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩১), গুল্টা গ্রামের মৃত বাবুলাল তির্কীর ছেলে নিরঞ্জন তির্কী (৪৭), স্থানীয় মৃত সুধীর এক্কার ছেলে লালন এক্কা (২৪) ও খোকা তপ্যর ছেলে রাজ কুমার তপ্যকে (৩১) গত ২৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী আরিফ ও নিরঞ্জন তির্কী ২৬ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেন।

আটকদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহত মতিনের দোকানের পাশেই ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন আরিফুল ইসলাম। মতিনের ব্যবসার উন্নতি দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন আরিফ। আরিফ এক পর্যায়ে স্থানীয় নিরঞ্জনকে জানায় মতিন রাতে তার বাসায় ঢিল ছোড়ে। নিরঞ্জনের স্ত্রী পদ্মার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্যই মতিন এই কাজ করে বলে উসকানি দেন আরিফ।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন-চার মাস আগে স্থানীয় স্কুলমাঠে একটি ইসলামি জলসায় বক্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করেও আরিফ ও মতিনের বাগবিতণ্ডা হয়। এতেও আরিফের টার্গেটে পরিণত হয় মতিন। পরে হত্যার ঘটনার দিন গত ১৬ জুন রাত ১টার দিকে মতিন দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে নিরঞ্জন, নিরঞ্জনের স্ত্রী পদ্মা, নিরঞ্জনের ছেলে মিঠুন ও আরিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিরঞ্জন ও আরিফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় মতিনের। এ সময় নিরঞ্জনের সহায়তায় মতিনের ঘাড় মটকে দেয় আরিফ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান মতিন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে মতিনের নিথর দেহ ১৫ মিনিটের মতো নিরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়। তার মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থল থেকে দু-তিন কিলোমিটার দূরে ডোবার মধ্যে রেখে আসা হয়। এরপর তাড়াশ থানার গুল্টা বাজার সংলগ্ন একটি হাইস্কুল মাঠের পাশে টয়লেটের ছাদে উঠে মতিনের মরদেহ নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

‘করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় টয়লেটে যেতো না কেউ। স্থানীয় মাঠে ছেলেরা ক্রিকেট খেলার সময় বল গিয়ে পড়ে টয়লেটের পাশে। সেখানেই তারা মতিনের মৃতদেহ দেখে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৬ জুন তাড়াশ থানায় নিহতের ভাই মো. মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত আব্দুল মতিন (৩৮) তালম পদ্মপাড়া গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি