X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে ১০ বছরেও বাড়েনি মাছের চাহিদা! 

ফরিদপুর প্রতিনিধি
৩১ আগস্ট ২০২১, ১৫:২৮আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৫:২৮

দেশের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে খাবারের চাহিদা। সে অনুযায়ী মাছের চাহিদা বাড়ার কথা থাকলেও, ফরিদপুর মৎস্য বিভাগের হিসাবে তা বাড়েনি। না বাড়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ১০ বছর আগের আদম শুমারির হিসাবে চাহিদা নির্ধারণ করায় এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। 

বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানে কখনও সঠিক তথ্যকে নির্দিষ্ট করতে পারে না। তাই বাস্তব চিত্রের সঙ্গে পার্থক্য থাকে। 

জানা যায়, সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও রবিবার (২৮ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সেবা সপ্তাহ। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় আয়োজন করে জেলা মৎস্য বিভাগ। সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সরবারহ করা তথ্যনোটে জানানো হয়, জেলায় গত বছর মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪৩ হাজার ৫২১ মে. টন। যা চাহিদার তুলনায় দুই হাজার ২০১ মে. টন বেশি। জনপ্রতি ৬০ গ্রাম মাছের জোগান হিসেবে ফরিদপুরে মাছের চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৩২০ মে. টন।

তবে এমন তথ্যের বিপরীতে বাস্তব চিত্রের বিরাট ফারাক রয়েছে। কেননা, মাছের চাহিদা নির্ণয়ে জনসংখ্যার যেই হিসাব ধরা হয়েছে সেটি আজ থেকে দশ বছর আগের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী করা হয়েছে।

এদিকে সভায় জানানো হয়, ফরিদপুরে ১১ হাজার ৫৫৩ হেক্টর আয়তনের পাঁচটি নদীতে বছরে মাছের উৎপাদন হয় তিন হাজার ৭৪৫ মে.টন। ২৯ জাজার ৮৩১টি পুকুর হতে ২১ হাজার ৩৫৭ মে.টন, ৭৯টি বিল হতে ১০৬২ মে.টন, পাঁচটি বাওড় থেকে ৮১৩ মে.টন, ২৯০টি প্লাবনভূমি হতে ৯ হাজার ৫৩ মে.টন ছাড়াও ৭৯টি খাল, পাঁচটি হ্যাচারি ও অন্যান্য উৎস থেকে মাছের যোগান আসে।

এসময় মৎস্য বিভাগ দাবি করে, গত অর্থবছরে জেলার ৯টি উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে ৬ দশমিক ৬৩ মে.টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ হেক্টরে প্রদর্শনী খামার করা হয়েছে। জেলায় মৎস্য চাষি রয়েছে ২০ হাজার ৭০০ জন। এদের মধ্যে নিবন্ধিত মৎস্য চাষি ১২ হাজার ১৮০। এছাড়া বেশকিছু মৎস্য উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে মৎস্য হ্যাচারি করা হয়েছে একটি। আগামী পাঁচ বছর নাগাদ এসবের সুফল পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় ১০ বছর আগের আদমশুমারি অনুযায়ী মাছের চাহিদার কথা জানানো হয় ফরিদপুরে যেই হারে পুকুর ও খাল ভরাট হচ্ছে তাতে এই তথ্যের সাথে বর্তমানের মিল রয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, খাল বা পুকুর ভরাটের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা জেলায় ব্যাপকহারে চায়না দুয়ারি ব্যবহার করে মাছের রেণু ও পোনা ধরার অভিযোগ করেন। তারা জানান, বাজারে বিক্রি হচ্ছে রিঠা, বোয়াল, রুইসহ দেশীয় প্রজাতির নানান মাছ। এছাড়া বিভিন্ন সময় মৎস্য বিভাগের অভিযানে যেই কারেন্ট জাল উদ্ধার হয়, সেগুলো আবার জেলেদের কাছে গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে।

জবাবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দাবি করেন, অভিযোগটি সঠিক নয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম এসময় বলেন, চায়না দুয়ারি ইয়াবার মতো ভয়ঙ্কর। এটি এখন গোদের উপড় বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি। তবে আমাদের জনবলের খুবই অভাব। কোনও কোনও উপজেলায় একজন কর্মকর্তা ছাড়া আর কোনও জনবল নেই বলেও জানান তিনি।  

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ