X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসচর্চায় বশীর আলহেলাল

ড. এম আবদুল আলীম
০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:০০আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০২

বাঙালির জাতীয় জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন। এই আন্দোলনের পথ ধরে নানা আন্দোলন-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের মানুষ লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন বাঙালির চেতনায় পাকিস্তানি ভাবধারার বিপরীতে ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক এমন এক জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়, যা ধাপে ধাপে তাদের পৌঁছে দেয় স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। বস্তুত সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, অহিউল্লাহ, আউয়ালসহ নাম না-জানা শহিদদের রক্তবীজ থেকে যে চেতনার জন্ম হয়, তা-ই বাঙালির আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করে এবং স্বকীয় অস্তিত্ব নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি দান করে। বাঙালির সেই দীপ্ত শপথের অগ্নিমশালবাহী আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই লেখালেখি করেছেন অনেক কৌতূহলি গবেষক ও অনুসন্ধানি লেখক। বশীর আলহেলাল এ পথের একজন অগ্রণী ব্যক্তি। কেবল ভাষা-আন্দোলন নয়, সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্যে বিচিত্রপথে ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ্য বিচরণ। একদিকে রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফসল বাংলা একাডেমির ইতিহাস রচনা করে তিনি পালন করেছিন ঐতিহাসিক গুরুদায়িত্ব। 
রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো থেকেই এ নিয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ, সম্পাদকীয়, পুস্তিকা এবং গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এ আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা রচিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। তমদ্দুন মজলিস কর্তৃক প্রকাশিত ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা—বাংলা না উর্দু?’ শিরোনামের ওই পুস্তিকাটিতে স্থান পায় আবুল মনসুর আহমদ, আবুল কাসেম এবং কাজী মোতাহার হোসেনের লেখা; লেখাগুলোট ছিল—“বাংলা ভাষাই হইবে আমাদের রাষ্ট্রভাষা”, “আমাদের প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রভাষা” ও “পূর্ব-পাকিস্তানের ভাষাসমস্যা”। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির অব্যবহিত পূর্বে রচিত হয় দুটি পুস্তিকা; একটির শিরোনাম ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন : কি ও কেন?’, রচয়িতা আনিসুজ্জামান; আরেকটি ‘আমাদের ভাষার লড়াই’, রচয়িতা বদরুদ্দীন উমর। ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ নামে যে সংকলন প্রকাশিত হয় তাতে স্থান পাওয়া কবির উদ্দিন আহমদের ‘একুশের ঘটনাপঞ্জী’ শীর্ষক লেখাটিও ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল। এরপর বহু লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদের অনুসন্ধানে বাঙালির গৌরবের রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন নানামাত্রিক বয়ানে ইতিহাসের পাতায় স্থান লাভ করেছে। অনেকের স্মৃতিচারণ, আত্মজীবনী এবং ডায়েরির পাতায়ও স্থান পেয়েছে এ আন্দোলনের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি’ প্রভৃতির কথা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনসমূহও এ ইতিহাসের অকাট্য প্রামাণ্য নিদর্শন। তাছাড়া আবদুল হক, অলি আহাদ, বদরুদ্দীন উমর, রফিকুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, গাজীউল হক, এম আর আখতার মুকুল, মযহারুল ইসলাম, সফর আলী আকন্দ, হুমায়ুন আজাদ, আতিউর রহমান, এম এম আকাশ, আহমদ রফিক, বশীর আল হেলাল, শামসুজ্জামান খান, সাঈদ হায়দার, আবদুল মতিন, হায়াৎ মামুদ, রতন লাল চক্রবর্তী, মাহবুব উল্লাহ্, আবুল কাসেম ফজলুল হক, হারুন-অর-রশিদ, মাহবুবুল হক, বিশ্বজিৎ ঘোষ, মোনায়েম সরকার, এ কে এম শাহনাওয়াজ, গোলাম কুদ্দুছ, এম এ বার্ণিক, আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, তসিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাননান, এম আর মাহবুব, মামুন সিদ্দিকীসহ অগণিত লেখক-গবেষক ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করেছেন। বর্তমান প্রবন্ধের লেখকও এ পথে কিছুটা আলো ফেলেছেন। তবে বশীর আলহেলাল সকলের মধ্যে ব্যতিক্রম; ব্যতিক্রম এখানে যে, বদরুদ্দীন উমরের পর রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসচর্চায় তিনিই সবচেয়ে অনুসন্ধানী প্রয়াস চালিয়েছেন।
রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসচর্চায় বশীর আলহেলালের অনন্য অবদান ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ নামক আকরগ্রন্থ। গ্রন্থটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসচর্চায় বদরুদ্দীন উমরের একাধিপত্যের জগতে বশীর আলহেলাল আবির্ভূত হন অনেক অজানা ও দুষ্প্রাপ্য তথ্য নিয়ে। বদরুদ্দীন উমর তাঁর ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা-আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ গ্রন্থে যেখানে তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি এবং ‘সাপ্তাহিক নও-বেলাল’ পত্রিকাকে আশ্রয় করে একপেশে বয়ান দ্বারা ইতিহাসের অনুসন্ধিৎসু পাঠককে বুঁদ করে রেখেছিলেন, সেখানে বশীর আলহেলাল ‘সাপ্তাহিক ইত্তেফাক’, ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’সহ বিচিত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য দলিলপত্র দ্বারা নতুন তথ্য হাজির করে পাঠকের ইতিহাস-দৃষ্টির দিগন্ত প্রসারিত করেন। বশীর আলহেলাল ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস-অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিশেষভাবে সহযোগিতা লাভ করেন তাঁর অগ্রজ নেয়ামাল ওয়াকিলের কাছে, যিনি ১৯৫২-র ভাষা-আন্দোলনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তাঁর সংগৃহীত বহু দুষ্প্রাপ্য দলিল বশীর আলহেলালের গবেষণায় সহায়ক হয়েছিল। গ্রন্থের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন : ‘তথ্য-সংগ্রহে হাত দিয়ে হঠাৎ দেখি, একটি অপ্রত্যাশিত সৌভাগ্য অপেক্ষা করছিল। দেখা গেল, আমার সর্বাগ্রজ জনাব নেয়ামাল ওয়াকিল-এর সংগ্রহেই রয়েছে দুর্লভ বেশকিছু পত্রপত্রিকা, যার মধ্যে রয়েছে ‘সাপ্তাহিক ইত্তেফাক’-এর মস্ত সংগ্রহ, এবং ভাষা-আন্দোলনের কিছু দুর্লভ প্রচারপত্র, পুস্তিকা ও অন্যান্য দলিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর আরো মূল্যবান সংগ্রহ কীটদষ্ট হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তবু তাঁর এই অমূল্য সংগ্রহের সন্ধান না পেলে এ-ইতিহাস আরো অপূর্ণ থেকে যেত।’ 
বশীর আলহেলাল অন্যান্য ইতিহাসকারের মতোই মূলত ঢাকার ভাষা-আন্দোলনকে তাঁর ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থে স্থান দিলেও অপরাপর গ্রন্থগুলো থেকে তাঁর গ্রন্থটি অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ চরিত্রের। বদরুদ্দীন উমর গুরুত্ব দিয়েছেন ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর, সেগুলোর সঙ্গে ভাষা-আন্দোলনকে স্থান দিয়েছেন; পক্ষান্তরে বশীর আল হেলাল ভাষা-আন্দোলনকেই কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন। বশীর আলহেলাল তাঁর ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থটিকে দশটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন। প্রথম অধ্যায়ে ভাষা-আন্দোলনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে স্থান দিয়েছেন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট। তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা-আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছেন। পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে বায়ান্ন-উত্তর কালের একুশের চেতনা লালন এবং বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বিস্তার সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। বাংলা ভাষা ও বর্ণ সংস্কারে মুসলিম লীগ সরকারের অপপ্রয়াসের বিস্তারিত বিবরণ তথ্যপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন। সবমিলিয়ে গ্রন্থটি ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসের প্রামাণ্য গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে। যতটা সম্ভব নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। কাউকে অধিক মূল্যায়ন আবার কাউকে অবমূল্যায়ন; কোনোটিই তিনি করেননি; বরং ইতিহাসে যাঁর যা ভূমিকা তার অনুপুঙ্খ বয়ান হাজির করেছেন। একেবারে ত্রুটিমুক্ত না হলেও ইতিহাসকে সাধ্যমতো নিরপেক্ষ রূপদানে তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। নিজের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করতে তিনি এতটুকু কুণ্ঠাবোধ করেননি। ঢাকার বাইরের ভাষা-আন্দোলনকে ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’-এ স্থান দিতে না পারায় তিনি এক ধরনের মনোকষ্ট বোধ করেছেন এবং অনাগতকালের কোনো গবেষকের ওপর সে দায়িত্ব বর্তিয়ে স্বস্তি খুঁজেছেন। তিনি লিখেছেন : ‘মনের মঞ্চে ফাঁকা-ফাঁকা একটা ভাবের দুঃখ নিয়ে গবেষণাই বলুন আর ইতিহাস বলুন, শেষ করেছিলাম। মনকে বুঝ দিয়েছিলাম, মফস্বলের ইতিহাস অন্য কেউ লিখছেন, লিখবেন। এভাবে আমি আমার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখার কাজ শেষ করেছিলাম ওই অতৃপ্তি নিয়ে যে, মফস্বলের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বাদ থাকল।’ ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থ ছাড়াও ভাষা-আন্দোলন বিষয়ে তিনি রচনা করেন ‘ভাষা-আন্দোলনের সেই মোহনায়’ শিরোনামের গ্রন্থসহ অনেক প্রবন্ধ। এছাড়া নতুন প্রজন্মের গবেষকদের ভাষা-আন্দোলন গবেষণায় আগ্রহী করতে তাদের গ্রন্থের ভূমিকা লেখাসহ দুর্লভ তথ্যের সন্ধান দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
বশীর আলহেলাল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি, জন্মস্থান মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমির সহ-অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো হলো : গবেষণাগ্রন্থ : ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’, ‘বাংলা একাডেমির ইতিহাস’, ‘ভাষা-আন্দোলনের সেই মোহনায়’; গল্পগ্রন্থ : ‘প্রথম কৃষ্ণচূড়া’, ‘আনারসের হাসি’, ‘বিপরীত মানুষ’, ‘ক্ষুধার দেশের রাজা’; উপন্যাস : ‘কালো ইলিশ’, ‘ঘৃতকুমারী’, ‘শেষ পানপত্র’, ‘নূরজাহানদের মধুমাস’ ও ‘শিশিরের দেশে অভিযান’। সাহিত্য-সাধনার স্বীকৃতি-স্বরূপ ১৯৯৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। গবেষণা ও সৃজনশীল কর্মের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বিশেষ করে, রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসচর্চায় তাঁর যে অবদান, সেজন্যে বাঙালির ইতিহাসে তিনি শ্রদ্ধাপূর্ণ আসন লাভ করবেন। 

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন