শরীয়তপুরে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। জাজিরা উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী প্রায় পাঁচটি ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে ওই সব ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল ও নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, পদ্মার পানি আরও বাড়তে পারে।
পাউবো ও স্থানীয়রা জানায়, পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টের পানি মাঝে একটু কমলেও হঠাৎ করে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলা, নড়িয়ার, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় কিছু নিচু এলাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে কীর্তিনাশা নদীতেও পানি বেড়েছে।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোত বেড়েছে নদীতে। স্রোতে জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামের খাল, ডোবা ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুন্ডেরচরে ভাঙনকবলিত ১৪২ পরিবারকে দুই হাজার নগদ টাকা ও ২০ কেজি খাদ্যসামগ্রী দেওয়া দেয়। খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
তিনি জানান, আজ আমরা কুন্ডেরচর ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৪২ পরিবারকে নগদ টাকা ও ত্রাণ সহযোগিতা করেছি। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভাঙনকবলিত মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি। ভাঙন ও বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, আমরা নিয়মিত পানি ও নদী ভাঙন এলাকার মানুুষের খোঁজ-খবর রাখছি। ভাঙনকবলিত এলাকার প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন দেওয়া হবে। আমাদের কাছে ৭৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে নয় লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ১৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।