প্রধানমন্ত্রীর‘বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন-২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলম।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন থেকে ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা ১৯৮৬ সালের অর্ডিন্যান্স ছিল। কিন্তু আদালতের ২০১৩ সালের জাজমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে সেটাকে আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, সামরিক শাসনের সময় যে অধ্যাদেশ ছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন আইন করতে হবে। এটা আগেই ছিল। যেমন- পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা, তাদের জন্য আলাদা একটা কল্যাণ তহবিল আইন আছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিল আছে। পুলিশ বা বিভিন্ন ইউনিফর্ম সার্ভিসে দুইটা, পুলিশের হলো ১০ গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত একটা। আর ১০ গ্রেডের ওপরে যেটা, সেটা আমাদের সরকারি কর্মচারী আইন দিয়ে চলে। কিন্তু তারা আবার এটার মধ্যে পড়েন না। সেজন্য এই আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে, কল্যাণ ফান্ডটা যাতে তারা পান বা ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা ৮৫ টাকা অথবা বোর্ড থাকবে, বোর্ড যেটা নির্ধারণ করে দেবে, সেই পরিমাণ চাঁদা দিতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর ও এর নিচের কর্মচারী যারা তারা সবাই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সেখানে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের মতো যে বোর্ড আছে, সেই রকম এখানেও একটা বোর্ড থাকবে। আইজি নিজেই সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান।’
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় অধ্যাদেশে ছিল, তা নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ মারা যান সেক্ষেত্রে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে কারা কীভাবে তহবিল থেকে টাকা পাবেন, সেটা মুসলিম পরিবার আইন বা হিন্দু আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই পাবেন।’