প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের চাপ সকালের সড়কে তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও দুপুর পর রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এ সময় স্কুলগুলো ছুটি হলে জ্যামের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে নগরীর বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে যানজটের ভয়াবহতা দেখা দেয়। দুপুরের পর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
দুপুরের পর নগরীর সিদ্ধেশ্বরীতে অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছুটি হলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। যানবাহনের চাপে শান্তিনগর এলাকার তীব্র জটের সৃষ্টি হয়। এই সিগন্যালটি পার হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৫-২০ মিনিট। যানজটের পাশাপাশি গরমের কারণে অনেকেই অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ইয়াছিন আরাফাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ আমাদের স্কুল খোলার প্রথম দিন। অনেকদিন পর স্কুল চালু হওয়াতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছেন। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও এসেছেন। সবাইকে যাতায়াতের জন্য রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করতে হয়েছে। আবার অনেকেই এসেছে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে। বাসায় ফেরার সময়েও তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেছে।
জানতে চাইলে আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের হেলপার নাসির উদ্দিন বলেন, ২০ মিনিটের বেশি সময় শান্তিনগরের এই মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সিগন্যালের ওপাশেও জট লেগে আছে। স্কুলগুলো ছুটি হওয়ার কারণে রাস্তায় রিকশার সংখ্যা বেড়েছে, এজন্য যানজট বেশি। তাই আমরা বাসের ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে আছি।
একই চিত্র দেখা গেছে সেগুনবাগিচা এলাকায়। এই এলাকায়ও রিকশা ও সিএনজির পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি দেখা গেছে। এলাকার ছোটখাটো অলিগলিগুলো অতিক্রম করতে অনেক সময় অপেক্ষা কততে হয় সাধারণ মানুষদের।
নগরীর বাংলামটর, শাহবাগ, মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, এফডিসি হাতিরঝিল, রাজারবাগ মৎস্যভবন, পুরান ঢাকা, আজিমপুর, সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর, রাসেল স্কয়ারসহ বিভিন্ন এলাকার চিত্রও একই দেখা গেছে। এসব এলাকার প্রতিটি সিগন্যাল পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লাগতে দেখা গেছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বাস চালকরাও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।