তুমি নামের অচেনা কেউ
চার উপাঙ্গ সমানে দোলাও
বিলিয়ে যাও জুরাসিক কালের গান
তুমি কি পাখির মতন?
অথবা মূক বৃক্ষের মতন নির্বিকার
ফ্যাকাসে ধুলোর সরানে
ঢেলে দাও মধুর অম্লজান।
সবরমতী এক্সপ্রেসের মতন
ধেয়ে আসে ঈশান-ঘূর্ণি
পাখিরা পালায়—ভেঙে যায় ডানার অহংকার
শেকড়ের ওজরেও নুয়ে পড়ে বৃক্ষ।
তুমি আসলে বাতাস
ভেঙে দাও প্রকাশরূপ—আলোর সংস্করণ।
জল ছাড়া অন্যকিছু
শৈশবের নদী
যার ঢেউগুলোকে কুমারীর কুচ ভেবে
লাফিয়ে ওঠে পানকৌড়ি,
মানুষ পানিউড়ি হলে
জেনে যায় কবিতা আসলে উলঙ্গ সমুদ্দুর
যার চিকন ঢেউয়ে যুবতী আঁচলের ভ্রম,
মুহাজির মানুষ ঢেউ সোয়ারি হলে
জেনে যায় কবিতা জল ছাড়া কিছু নয়
যে কেবল তৃষ্ণা মেটায় না—ডুবিয়েও মারে।
নাস্তিকাল
বারবেলা পড়ে আছে
নাগরিক উঠোনে
কণ্ঠস্বরগুলোর ওপর
সেঁটে আছে লকডাউন
ও পৌষালি পাখি
গান গাইবার আগে মিলিয়ে নাও
গ্রহস্ফুটের নক্ষত্র সংখ্যা
পরিযায়ী মেঘের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে—ফলাফল
বাক্য নাস্তি, শ্রুতি নাস্তি, দর্শন নাস্তি।