পণ্যে ভেজাল থাকার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ চাওয়ায় সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক ও এক নৈশপ্রহরীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন—তাড়াশ উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টু এবং উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতালের নৈশপ্রহরী গৌড়ী চাঁদ তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন জানান, গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর পাঁচটি নির্দেশনা দিয়ে দুই জনকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার তাড়াশের ধামাইচ হাটের মসলা ও তেল বিক্রেতা ইমদাদুল হকের কাছে পণ্যে ভেজাল রয়েছে অভিযোগ তুলে ঘুষ দাবি করেন স্যানিটারি পরিদর্শক ও নৈশপ্রহরী। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাদেরকে মারধর করে জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে দুই জনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশপ্রহরী গোড়ী চাঁদকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। রাত ৯টার দিকে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ড. রামপদ রায় জানান, ঘুষ দাবির অভিযোগে দুই জনকে শোকজ করা হয়েছে এবং একটি টিমকে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তপূর্বক আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘুষ দাবির অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি জানান, স্যানিটারি পরিদর্শক এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টু জেলা কৃষক লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।