X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশপাতার ভেতরে ভেসে যাবার প্রাক্কালে

সুহিতা সুলতানা
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৪আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৫

উদ্ভিদ

এই অপরাহ্ণে কে কার জন্যে অপেক্ষায় থাকে?
যে ড‌াঙায় ছিপ ফেলে বসে থাকে অনন্তকাল 
তার কী জলে নামার কথা ছিল? না ধুলোঝড়ে
বাঁশপাতার ভেতরে ভেসে যাবার প্রাক্কালে এক
ঝলক চোখে চোখ রাখবার জন্য ব্যাকুলতা ছিল
নিছক প্রেমও আজকাল ঘোড়ারোগের মতন
দাঁড়িয়ে থেকে জাবর কাটতে কাটতে বুনোঘাস
সেখানে না থাকে ঘাসফড়িং না থাকে কাচপোকা
ধুলোবালির সংসারে অপেক্ষাও হাই তুলে বসে!
যে প‌ারে সে সব পারে খড়কুটো হয়েও টিকে 
থাকতে পারে! অসীম ধৈর্য যার থাকে তার জীবনও
বড় টেকসই; মুখোশ সরিয়ে সবুজ দিগন্ত দেখতে
পায়! হে সন্দেহ এসব ছোঁয়াচে উদ্ভিদের কাছে না 
গিয়ে জ্বলন্ত আগুন ছুঁয়ে দ্যাখো, ঝলসে যাওয়া
সময়ের ভেতরে আলো-অন্ধকার মর্মতলে বাজায়
ত্রিকাল মগ্ন সুর। সুন্দরের দিকে যত ছাইভস্ম উড়ে
এসে জুড়ে বসে কিরিচ হয়ে। দ্বিধার উপকূলে ঝরা
পাতাদের বিরহসঙ্গীত। বক্ররেখা থেকে চাঁদের নদীতে
যে নামে তার ক্ষতও নীলবর্ণ হৃদয়ের মতন। কোথাও
কী আচমকা অচেনা হাওয়া বয়ে গেল? না চূর্ণ হতে
হতে যে মানুষ হারিয়েছে গন্তব্য তার জন্য কোনো পথ
নির্দিষ্ট হলো? ভাদ্রের শেষ দিনে প্রাণের ওপর দিয়ে
তীর্থ যাবার বাসনা নিয়ে যিনি আগুনের গা ঘেঁষে 
বসেন তার জ্ঞান সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।।


বৃক্ষ
 
মায়া আছে ছায়া নেই। আজকাল 
বৃক্ষরাও বেকেচুরে বসে। স্বার্থের ঘেরা
টোপে সম্পর্করাও মুখ ফিরিয়ে নেয় 
সময়ের কার্নিশ বেয়ে যে যায় সে যায়
শরতের এমন দিনে প্রগাঢ় শব্দে বাজে
আগুন লিরিক। পথের ওপর দিয়ে পথ
চলে যায়। জলের ক্রন্দনে ভাসে আলোর
গোলক, আত্মার ধ্বনি। তারপর একা
একা বহুদূর। যেদিকে তাকাই মুখোশ
ভর্তি মুখ আর বিষজল।সব জ্বালিয়ে
পুড়িয়ে ঘাতক থিতু হয়ে বসে।অস্তিত্বের
ভেতরে এত দাহ এত শূন্যতা বুঝিনি 
আগে। লোভের অনলে খাক হয়ে যাচ্ছে
মন, সময় ও বৃক্ষ। কৃতঘ্নর লোলুপ ক্ষুধা
রক্ত‌াক্ত করে তোলে দিগন্ত। যথারীতি
পরমায়ু খেয়ে ফ্যালে লোভার্ত কুমির
ভাবনার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে খণ্ডখণ্ড
পাথর, গন্তব্যের ওপর উৎকণ্ঠা হাঁ-মুখ
খুলে বসে। সব উপমা, ঘ্রাণ, সৌন্দর্য
অদৃশ্য হতে হতে অনিশ্চিত করে তোলে
মুহূর্ত। গন্তব্য বলতে দূরত্ব, হলুদ বৈভব


শহর

একটি শহর কীভাবে মানুষের মস্তিষ্ক ভোঁতা
করে দিতে পারে তা কী তুমি জানো? নানা
পদের মানুষ শহরভর্তি। মুখোশের আড়ালে
হিংস্রতা না দেখা অভিশাপ ধূসরতা বাঁচার
বিশ্বাস। চোখহীন চোখের যাতনা লোভের
আঙটায় ঝুলিয়ে অন্ধত্ব বরণ করে নিয়েছে
যে তাকে চক্ষুষ্মান করাও বড় কঠিন আজ
ডানা ভেঙে গেলে পাখিও মুখ থুবড়ে পড়ে
শহরের উপকণ্ঠে! নীলাভ শূন্যতা কয়েদির
ম্লান হাসির সাথে দগ্ধ হতে হতে বিমূঢ় হতে
থাকে। সেই আমার বলতে আমি! নিঃসঙ্গতা
দগ্ধ পথরেখা ভাদ্রের ধূম্রজাল করোনার ক্ষীণ
ইতস্তত দ্রোহ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শহরকে
বৈষম্যে মুড়িয়ে দিতে উদ্যত। কী অনুচিত তা
কী শহর বোঝে? না তুমি? মধ্যদুপুরে ভাঙা
চশমার আর্তনাদ না দেখা অরণ্য ন্যায় ও
অন্যায়ের মুখোমুখি বসে। এত জটিলতা 
ভালো নয় জেনো, বিবরণের সরলীকরণ
ভালো যদিও প্রত্যাশার পরিমাপ নীতিশাস্ত্র
বোঝে না। কালের আয়নায় দ্যাখো সংসার 
সঙ সেজে উঠে যাচ্ছে যাত্রামঞ্চে। চারদিকে
এত অসঙ্গতি এত লোভ কোনো নিবৃত্তি নেই

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী