এহসান গ্রুপের এমডি রাগীব আহসান ও তার তিন ভাই আবুল বাশার, মো. খাইরুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে হওয়া পাঁচ প্রতারণার মামলা তদন্তে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্ল্যা আজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরকালে মুক্তির দোহাই দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করতো এহসান গ্রুপঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এহসান গ্রুপের এমডি রাগীব আহসান ও তার তিন ভাই মাওলানা আবুল বাশার, মো. খাইরুল ইসলাম ও মুফতি মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে করা পাঁচটি প্রতারণার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। রবিবার এ মামলার যাবতীয় কাগজপত্র সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর পুলিশের একটি সূত্র।
ছাত্র ধর্ষণে ইমামতি থেকে বহিষ্কার হয়ে এমএলএম শুরু রাগীবেরপিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ. মো. মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, পিরোজপুর সদর উপজেলার মূলগ্রাম রায়েরকাঠী এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক হারুনার রশিদ বাদী হয়ে রাগীব ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৯১ কোটি ১৫ লাখ ৯৩৩ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রথমে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমারখালী এলাকার মো. হেমায়েত উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় দুই কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।
এহসান গ্রুপে ৪০ লাখ টাকা রেখেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাএকই দিনে সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকার মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দুই লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার মো. মনির বাদী হয়ে তিন লাখ ৩৯ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া একই উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামের আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন।
রাগীবের কথার যাদুতে এহসানে জড়িয়ে নিঃস্ব শিক্ষকপিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্ল্যা আজাদ হোসেন জানান, গেল ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বাসা থেকে এহসান গ্রুপের এমডি রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশারকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। অপর দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও মো. খাইরুল ইসলামকে পিরোজপুরের খলিশাখালীর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর পুলিশ।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, গ্রেফতার রাগীব আহসান ও তার তিন ভাইকে সোমবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দীনের আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা এখন পুলিশ রিমান্ডে আছে।