রিজেন্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ এই চার্জশিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও চার কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তারা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের সভায় চার্জশিট দাখিল করলে কমিশন তা অনুমোদন দেয়।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিগগিরই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।
লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদ ছাড়া বাকি সবাই আসামি ছিলেন। তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আবুল কালাম আজাদ। সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা কেলেঙ্কারির একপর্যায়ে গত বছরের ২১ জুলাই তিনি পদত্যাগ করেন।