X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে ১৮ কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতি হয়েছিল যেভাবে

নুরুজ্জামান লাবু
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:০০আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:১২

পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৪ মে। কেউ কেউ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এক মাস পর, কেউ কেউ দুই মাস পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একখণ্ড জমি কিনেছেন। একজন-দুজন নয়, একই দাগ-খতিয়ানে একখণ্ড জমি কিনেছেন একাধিক ব্যক্তি। এদের কেউই ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তবু জেলা কোটায় নিয়োগ পেয়েছিলেন কনস্টেবল হিসেবে। পুলিশ সদর দফতরের অনুসন্ধানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ার পর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে সেই ১৮ কনস্টেবলের। কিন্তু জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এখনও কিছুই হয়নি। তারা সবাই আছেন বহাল তবিয়তে। নিয়োগে ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব পালনকারী ছয় উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ সদর দফতর।

সম্প্রতি এই জালিয়াতির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ-টিআইবি এক বিবৃতিতে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের ঘটনায় উচ্চপদস্থ সবার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ মে পুলিশ সদর দফতর ৯ হাজার ৬৮০ জন ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। জেলা কোটা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের নতুন পদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৭টি, আর বিশেষ কোটায় অপূরণীয় পদ সংখ্যা ছিল ৩১০টি। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ৩৫৭ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের কনস্টেবল নিয়োগে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় জালিয়াতির তথ্য জানার পর পুলিশ সদর দফতর অনুসন্ধান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ১৮ জন কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতির বিষয়টি ওঠে আসে পুলিশ সদর দফতরের অনুসন্ধানে। ওই ১৮ কনস্টেবল হলেন, হুমায়ূন কবীর, আকরাম হোসেন, রিপন হোসেন, সজীব, সবুজ হোসেন, রাসেল, সোহেল রানা, মানিক মিয়া, সাদরুল, রাসেল শেখ, রিপন সরকার, আপিরুল ইসলাম, তোফায়েল খান, সুমন আহম্মেদ, রায়হান আলী, কবির মিয়া, ফিরোজ আলী ও সুজন আহম্মেদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮ জন কনস্টেবলের বেশিরভাগেরই স্থায়ী ঠিকানা সিরাজগঞ্জ জেলায়। এছাড়া কয়েকজন বগুড়া, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ অন্যান্য জেলারও স্থায়ী বাসিন্দা। অন্য জেলার বাসিন্দা হওয়ার পরও অবৈধ ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে জেলা কোটায় নিয়োগ পেয়েছিল তারা। আবেদনের আগে তারা সবাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন পুটিনার বাগলা, আড়াইহাজার থানাধীন সাহেববাজারের পূর্বকান্দি, ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকার মধ্যনগর এলাকায় এক খণ্ড করে জমি কেনেন। পরে তদন্ত করে ১৮ কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়ে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের সবাইকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

জালিয়াতি হয়েছিল যেভাবে

বরখাস্ত হওয়া ১৮ পুলিশ কনস্টেবলের একজন স্বজন জানান, তারা মোট ১৪ লাখ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগের জন্য চুক্তি করেছিলেন। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিজেদের টাকায় তাদের নারায়ণগঞ্জের কোথাও এক খণ্ড জমি কিনতে হবে। একজন দালালের মাধ্যমে এই চুক্তি করেন তারা। সেই দালালের সঙ্গে জেলার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিনিই নিয়োগের পুরো বিষয়টি ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

পুলিশ সদর দফতরের অনুসন্ধান বলছে, ওই ১৮ জন কনস্টেবলের মধ্যে রিপন হোসেন, সজিব, সবুজ হোসেন, রাসেল ও কবির মিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৩ দিন পর ২০১৯ সালের ১৬ জুন রূপগঞ্জের বাগলায় একসঙ্গে একখণ্ড জমি কেনেন। যার সাবকবলা দলিল নং-৭৫০৮/১৯। এছাড়া হুমায়ুন কবির, রাসেল শেখ ও সুজন আহম্মেদ একই তারিখে একসঙ্গে একখণ্ড জমি কেনেন। যার দলিল নম্বর-৭৪৯১/১৯। বরখাস্তকৃত কনস্টেবল আকরাম হোসেন, রিপন সরকার ও ফিরোজ আলীর একসঙ্গে কেনা জমির দলিল নম্বর-৭৪৯২/১৯।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বরখাস্তকৃত কনস্টেবল সোহেল রানা ও সাদরুলের স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে কোনও প্রমাণই ছিল না। মানিক মিয়া নামে আরেকজন কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৬ দিন পর ফতুল্লার মধ্যনগরে একখণ্ড জমি কেনেন। যার দলিল নম্বর-৫৭২৩/১৯। আপিরুল ইসলাম ও রায়হান আলী একসঙ্গে একখণ্ড জমি কেনেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক মাস পর। তাদের দুজনের জমির দলিল নম্বর-৭৯৯৫/১৯। তোফায়েল খান রূপগঞ্জের বাগলায় জমি কেনেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৬১ দিন পর। দলিল নম্বর-৯৪৭৪/১৯। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৬৫ দিন পর সুমন আহম্মেদ জমি কেনেন। তার দলিল নম্বর-৯৪৮৮/১৯।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়োগের জন্য জমি কেনার পুরো বিষয়টি পরিকল্পিত। দালাল ধরে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, ফতুল্লা ও আড়াইহাজার গিয়ে জমি কিনেছেন। জমি কেনার পুরো বিষয়টি দেখভাল করেছে দালাল চক্রটি।

নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ঊর্ধ্বতনরা বহাল তবিয়তে

আলোচিত ১৮ কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতির বিষয়ে স্থায়ী ঠিকানা ভেরিফিকেশনে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও ফতুল্লা থানার তৎকালীন ৬ উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে পুলিশ সদর দফতর। অভিযুক্ত ৬ এসআই হলেন, ফরিদ উদ্দিন, শাজাহান খান, শামীম আল মামুন, খায়রুল ইসলাম, বিজয় কৃষ্ণ কর্মকার ও আরিফুর রহমান। তারা ওই ১৮ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগের জন্য স্থায়ী ঠিকানা যাচাই-বাছাই করেছেন। তারা প্রতিবেদনে প্রার্থীদের পূর্ববর্তী স্থায়ী ঠিকানার কথা উল্লেখ করলেও সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে তা জেলা ডিএসবি কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।

জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই (বর্তমানে নরসিংদীর মাধবদী থানায় কর্মরত) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রার্থীদের সবকিছু উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। প্রার্থীরা রূপগঞ্জে যে জমি কিনেছে সেই তথ্যের সঙ্গে তাদের পূর্বের স্থায়ী ঠিকানার তথ্যও প্রতিবেদনে উল্লেখ করি। কিন্তু কনস্টেবলদের চাকরির নিয়োগকর্তা হলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নিয়োগের বিষয়টি তারাই দেখভাল করেছেন। এখানে আমাদের করার কিছুই ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।’

একই কথা বলেছেন রূপগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই শাজাহান খান (বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত)। তিনি বলেন, ‘আমি যে কয়জনের প্রতিবেদন দিয়েছি, তাদের প্রত্যেকের আগের স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি উল্লেখ করেছি। আমরা তো নিয়োগের সুপারিশ করা বা বাতিল করার বিষয়টি উল্লেখ করতে পারি না। এটি করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আমাদের বিরুদ্ধে অকারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেকোনও প্রার্থীর নিয়োগের জন্য স্থায়ী ঠিকানা যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনে সুপারিশ করেন থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি)। ওই ১৮ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য রূপগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি মাহমুদুল হাসান, আড়াইহাজার থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম ও ফতুল্লা থানার তৎকালীন ওসি আসলাম হোসেন ভি-রোল প্রতিবেদনের ১৯ নম্বর কলামে নিয়োগযোগ্য বলে মতামত দেন। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পুরো প্রতিবেদনে নিয়োগযোগ্য বলে মতামত দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা ডিআইও-১ মোমিনুল ইসলামও। তবে পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পদমর্যাদার এই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় মামলা হয়নি। পুলিশ সদর দফতর থেকে তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি (বর্তমানে ডিএমপি সদর দফতরের অপরাধ বিভাগে কর্মরত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবেদন অগ্রগামী করেছিলাম। প্রতিবেদনে তাদের আগের স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল। জমি কেনার দলিল এবং কেনার তারিখও উল্লেখ করা ছিল। আমরা ছাড়াও বিষয়টি জেলা ডিএসবিও প্রকাশ্যে ও গোপনে অনুসন্ধান করেছে। এখানে নিয়োগের বিষয়ে আমাদের কোনও হাত ছিল না।’

এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিষয়টি এসপি মহোদয়কে মৌখিকভাবে বলেছি। এসপি মহোদয় বলেছেন, যার যতটুকু জায়গা আছে এটুকু উল্লেখ করে দাও। আমরা সেভাবেই করেছি।’

নাম প্রকাশে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর থেকে কনস্টেবল নিয়োগের পুরো বিষয়টি দেখভাল করবে পুলিশ সদর দফতর। আগে এই নিয়োগের পুরো ক্ষমতা ছিল জেলার পুলিশ সুপারের হাতে। নিয়োগের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই বা সকল কার্যক্রম জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশেই হতো। এক্ষেত্রে পুরো দায়ভার আসে পুলিশ সুপারের ওপর। কারণ, প্রশাসনে মৌখিক নির্দেশনাও অনেক সময় পালন করতে হয় অধস্তনদের। তা না হলে সেই অধস্তনের সেখানে চাকরি করাটা কঠিন হয়ে পড়ে।

পুলিশ সদর দফতরের অনুসন্ধানে এই জালিয়াতির বিষয়ে অনুসন্ধানের পর ৬ জন এসআই ও ৪ জন ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে অনুসন্ধানের বিস্তারিত বর্ণনায় প্রত্যেক কনস্টেবল নিয়োগে ভি-রোল যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও জেলা পুলিশ সুপার সব জেনেও নিয়োগে সুপারিশ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ কনস্টেবল নিয়োগের সময় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন হারুণ অর রশিদ। পরবর্তীকালে তিনি বদলি হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর বিভাগ) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। 

যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে  বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের জমির দলিল যাচাই ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের দেওয়া সনদ যাচাই করে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে অনুসন্ধানে জানার পর তাদের চাকরি চলে গেছে। এক্ষেত্রে যাচাই করার দায়িত্ব ছিল যাদের, তাদেরই তো এর দায় নেওয়া উচিত। পুলিশ সুপার তো আর মাঠপর্যায়ে গিয়ে অনুসন্ধান করতে পারেন না।’

জালিয়াত চক্র শনাক্তে কোনও উদ্যোগ নেই

আলোচিত এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের অনুসন্ধানে পুরো জালিয়াতির ঘটনাটি বের হয়ে এলেও জালিয়াত চক্রকে শনাক্ত করতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিয়োগের পর বরখাস্ত হওয়া ১৮ কনস্টেবল কার মাধ্যমে অর্থ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকে শনাক্ত করা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়োগে জালিয়াতি বা অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে এই চক্রটিকে শনাক্ত করতে পারলে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও বেশি উজ্জ্বল হতো। এছাড়া সরকারি চাকরির আশায় ঘুষদাতা পরিবারগুলোও কিছুটা উপকৃত হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কনস্টেবলের স্বজন জানান, তারা প্রায় ১৪ লাখ টাকা ধরা খেয়ে আছেন। সেই টাকাও তারা ফেরত পাননি। এমনকি ফেরত চাওয়ার সাহসও পাচ্ছেন না। কারণ, ওই দালালের নেপথ্যে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, টাকা চাইতে গেলে তারা আরও বিপদে পড়তে পারেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) হায়দার আলী খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জেনে জানাতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খুদেবার্তা পাঠাতে বলেন। খুদেবার্তায় পুরো বিষয়টি জানালেও তিনি আর কোনও মন্তব্য করেননি।

 /এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ২
কনস্টেবল পদে আরেকজনের হয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে বসা যুবক আটক
পুলিশে কনস্টেবল পদে আবেদনের সুযোগ আর দুইদিন
সর্বশেষ খবর
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী