X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোল্লা বারাদারকে ভিডিও বার্তা দিতে বাধ্য করা হয়েছে: রিপোর্ট

বিদেশ ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫২আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৪

তালেবানের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা হলেন, উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গণি বারাদার ও গোষ্ঠীটির আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। সোমবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য স্পেকটেটর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। এতে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় হাক্কানি ও বারাদারের সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে শেষের জন হেরেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্য স্পেকটেটর লিখেছে, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর প্রধানও হাক্কানিদের প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ সব পদ পাকিস্তানের অনুগতদের হস্তগত হয়, মূলত হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে।

সাময়িকীটি উল্লেখ করেছে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আসবাবপত্রসহ বড় ফ্লাস্ক ছুঁড়ে মারা হয়েছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিল-উল-রহমান হাক্কানি চেয়ার থেকে উঠে বারাদারকে ঘুসি মারতে শুরু করেন। বারাদার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের কথা বলছিলেন যাতে তালেবান নেতা ছাড়াও জাতিগত সংখ্যালঘুদের রাখা হবে। যা বিশ্বের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

এই ঘটনার পর কয়েক দিন কোনও খোঁজ ছিল না বারাদারের। পরে কান্দাহারে তার অবস্থানের কথা জানা যায়। তিনি সেখানে এক আদিবাসী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন, ওই নেতা তাকে সমর্থন করেন। কিন্তু তালেবান নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি ভিডিও বার্তা দিতে বাধ্য করা হয়। ওই বার্তায় সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: তালেবানের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে মুখ খুললেন মোল্লা বারাদার

প্রতিবেদনে আখুন্দজাদার বিষয়ে বলা হয়েছে, তার অবস্থান অজ্ঞাত। কিছু দিন ধরে তাকে দেখা যায়নি কিংবা তার কোনও কথা কেউ শুনেনি। গুজব রয়েছে তিনি মারা গেছেন।

শীর্ষপদে শূন্যতার কারণে তালেবানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার বিরোধী মাথাচাড়া দিয়েছে। যা দুই দশক আগে তাদের প্রথম শাসনামলে দেখা যায়নি বলে দ্য স্পেকটেটর উল্লেখ করেছে।

২০১৬ সালে তালেবান ও হাক্কানি গোষ্ঠী একীভূত হয়।

দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বারাদার। তিনি তালেবানের একটি সংস্কারমূলক ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী আত্মঘাতী হামলার প্রশংসা করেছে। খলিল হাক্কানি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন। হাক্কানি গোষ্ঠী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠ এবং ইসলামাবাদের কাছে অবস্থিত দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা থেকেই তারা নিজেদের সংগঠনের নাম নিয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

/এএ/
সম্পর্কিত
সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদনের পথে থাইল্যান্ড
মস্কোয় কনসার্টে হামলা: প্রশ্নের মুখে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা
সুপেয় পানির অপচয়, বেঙ্গালুরুতে ২২ পরিবারকে জরিমানা
সর্বশেষ খবর
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস দুর্ঘটনায় ৪৫ তীর্থযাত্রী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস দুর্ঘটনায় ৪৫ তীর্থযাত্রী নিহত
পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকা সোনা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিল পাচারকারী
পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকা সোনা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিল পাচারকারী
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়