X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ঈগল প্রজাতির ফসিল উন্মোচন করলেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা

বিদেশ ডেস্ক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:৩৫আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২৬

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশটিতে প্রায় দুই কোটি ৫০ বছর আগে বসবাস করা একটি ঈগল প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রজাতি সম্পর্কে এতোদিন জানা ছিলো না। এডিলেডের ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০১৬ সালে একটি শুষ্ক লেকে এই প্রজাতির ঈগলের বহু হাড়ের টুকরো খুজেঁ পায়।

নতুন এক জরিপে দেখা গেছে কঙ্কালের অবশেষটি ছিলো আরকেইর‌্যাক্স সিলভেসট্রিসের বা জঙ্গলের প্রাচীন শিকারি পাখির। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস প্রাচীন এই শিকারিটি পাখি, পোসাম এবং কোয়ালা শিকার করে টিকে থাকতো।

তারা বলছেন ঈগলটি জঙ্গলে ওড়ায় এবং শিকারে অভ্যস্ত ছিলো। খাটো ও বলিষ্ঠ পাখা, দীর্ঘ পা এবং বিস্তৃত পৃষ্ঠদেশ ছিলো এর। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শুকনো লবণের মরুভূমিতে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র লেক পিনপায় কঙ্কালের অবশেষগুলো পাওয়া যায়। ওই এলাকাটি জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাজপাখি এবং ঈগলের অবশেষ পাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ট্রেভর ওর্দি বলেন, ওই সময়ে খুব অল্প সংখ্যক থাকায় ‘ফসিল ঈগলের একটা হাড় পাওয়াও বিরল।’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘এই কঙ্কালের সবচেয়ে উৎসাহব্যঞ্জক বিষয়টি হলো এর বয়স।’

ঈগলটি যে সময়ে বেঁচে ছিলো সেই সময়টি ছিলো অলিগোসিন যুগ। সেই সময় স্থানীয় জলবায়ু ছিলো রেইনফরেস্টের, শুষ্ক মরুভূমি নয়।

সোমবার হিস্টোরিক্যাল বায়োলজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকরা খুঁজে পাওয়া ৬৩টি হাড়কে ‘ব্যতিক্রমী আংশিক কঙ্কাল’ আখ্যা দিয়েছেন। গবেষণাটির এক লেখক এলেন ম্যাথের বলেন আরকেইর‌্যাক্স সিলভেসট্রিস এক অনন্য সৃষ্টি যার কোনও চিহ্ন বর্তমানের বাজপাখি বা ঈগলের নেই।

গবেষকরা বলছেন ঈগল প্রজাতিটির পায়ের পাতার বিস্তৃতি ছিলো প্রায় ছয় ইঞ্চি। যা ব্যবহার করে সেগুলো সহজেই মারসুপিয়ালস, হাঁস এবং ফ্লেমিঙ্গো শিকার করতে পারতো।

/জেজে/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া
সিডনির গির্জায় ছুরিকাঘাতকে সন্ত্রাসী হামলা ঘোষণা
সর্বশেষ খবর
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট