X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মিন্টু ও আজিজের ফাঁসি কার্যকর

খুলনা ও যশোর প্রতিনিধি
০৫ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৬আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১২:২১

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিন্টু ওরফে কালু এবং আজিজ ওরফে আজিজুলের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই দু'জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ফাঁসি কার্যকরের আগে কারাগারে প্রবেশ করেন ডিআইজি (প্রিজন) ছগির মিয়া, জেলা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আসিফ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনসহ সরকারি কর্মকর্তারা।

ফাঁসি কার্যকরের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এর আগেই লাশ নিতে আজিজুলের বড়ভাই সভা মিয়া ও ভাইপো মিজানুর রহমান এবং মিন্টুর চাচাতো ভাই ইকরামুল এবং তাদের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কারাগারে পৌঁছান। 

এর আগে, গত শনিবার মিন্টু ও আজিজুলের সঙ্গে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে শেষবারের মতো দেখা করে তার পরিবার। ওই সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

 চুয়াডাঙ্গা আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা হাজিরপাড়া গ্রামের কমেলা খাতুন এবং তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই দুই নারীর গলাকাটা হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই জনসহ চার জনকে আসামি করা হয়। অপর দুই জন হলেন- একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান আসামি মহি। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করলে তা নামঞ্জুর হয়। ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদফতরকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
নারী উদ্যোক্তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার বিষয়ক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠিত
নারী উদ্যোক্তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার বিষয়ক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠিত
ইউক্রেনকে ৬২ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
ইউক্রেনকে ৬২ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী