X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাবা বলেছিল, “ওয়াইজ ম্যান’স অ্যাডভাইস”

করভী মিজান
০৫ অক্টোবর ২০২১, ২১:১৯আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১৪

করভী মিজান

আমার জীবনে সবচেয়ে প্রিয় দু’জন মানুষ। আমার বাবা। আমরা ডাকতাম ‘আব্বু’। আর আমার নাতি। একজন চলে গেলো ৮০ বছর বয়সে। আরেকজন ২ বছরের কেক কেটে। মনে হয় এই দু’জনের চলে যাওয়া আমার পুরো জীবনটাই পুরোপুরি বদলে দিয়ে গেলো। বলা হয়, মানুষ মারা যাওয়ার আগে তার প্রিয় মানুষটির কাছে ফিরে আসে। জানি এটা একটা মিথ বৈকি!

আর শোকেরও কী বৈপরীত্য! আব্বু যখন চলে যায়, মনে হয়েছিল– আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেলো। আমি সিঙ্গেল মাদার। বাবা ছাড়া ভবিষ্যৎ কী? কে দেবে আমাকে “ওয়াইজ ম্যান’স অ্যাডভাইস?” কে পাশে দাঁড়াবে আমার বিপদে? কে রাখবে তার প্রিয় কন্যাকে? আর যখন নাতি হারাই মনে হয়েছিল– ওকে নয়, কবর দিয়েছি আমার ভবিষ্যতকে। আমার স্বপ্নকে। কবর দিয়েছি আগলে রাখা কথাগুলো সব। ওর বেড়ে ওঠা। ওর ভালোবাসা।

এতো কথা লিখছি ‘ভূমিকা’ হিসেবে। অনেকবার ভেবেছি আব্বু’র কথাগুলো “অ্যা ওয়াইজ ম্যান’স অ্যাডভাইস” লিখবো। ছাপাবো। আমার মতো সিঙ্গেল মাদার বা সিঙ্গেল নারীরা পড়ে সাহস পাবে জীবনযুদ্ধে। ব্রিটিশ আমলের মানুষ হয়েও আব্বু মনে-প্রাণে বিশ্বাসে-কর্মে ভীষণ প্রগেসিভ ছিল। আর এই যুগের বাঙালি পুরুষদের মানসিকতার কথা না হয় নাই বললাম। ঘৃণা ধরে যায়। নারীদের প্রতি কোনও রেসপেক্ট নেই। বয়স ব্যাপার না। মেসেঞ্জারে আসতেই থাকবে ‘গুড মর্নিং’ মেসেজ– আপনি উত্তর দিন আর না দিন। ইনিয়ে-বিনিয়ে ‘ইন্ডিসেন্ট প্রপোজাল’ দিয়ে মেসেঞ্জার ভাসিয়ে ফেলবে। বয়স আমার অর্ধেকেরও কম। শুধু যে আমি ভুক্তভোগী তা নয়। আমার বয়সী বেশিরভাগ নারীরাই। কত আর ব্লক করা যায়। কয়েক বছর আগেও এসব দেখিনি। এখন যে পরিমাণে দেখছি।

আমার কেন জানি মনে হয়– যেসব মেয়ে সন্তানরা মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে বেশি ক্লোজ, তারা সারাজীবন বাবাকেই হিরো হিসেবে মানে এবং নিজ সংসারে স্বামীর সঙ্গে তার মিল কমই হয় বা হয়ই না। ইডিপাস কমপ্লেক্সের মতো। এর নাম ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স। ২-৬ বছরের কন্যাশিশুদের মধ্যে প্রকাশ পায়। আর তেমনই মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আমি এর ভুক্তভোগীই বটে। আমার বাবাই ছিল আমার হিরো।

১৪ বছর বয়সে প্রথম গাড়ি চালানো আমার বাবার শিক্ষা। আব্বু ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট। তার আগে পাকিস্তান এয়ারফোর্সে কাজ করতো। স্মোকিং করতো। সেটাও রাতারাতি একদম ছেড়ে দিলো। বড় হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম–আব্বু তুমি কীভাবে ছাড়লে? নিকোটিন প্যাচও তো ইউজ করোনি। আব্বু হেসে বলেছিল-‘কোনও ধরনের নেশার কাছেই নিজেকে জিম্মি করবি না। ছাড়তে হলে একবারে। পেছন ফিরে তাকাবি না। নেশা ধীরে ধীরে ছাড়া যায় না। ত্যাগ করতে হয়। মনের জোর লাগে।’ 

এর বহুদিন পর দেখেছি– ১৪ বছর বয়সে আমার ছেলের ড্রাগ পজিটিভ আসে। কী উপস্থিত বুদ্ধি এবং পরম ভালোবাসায় নাতিকে রাত ১১টায় রিহ্যাবে নিয়ে গেলো আব্বু। তার ১৫ দিনের মধ্যে মালয়েশিয়া টেইলারস স্কুলে ভর্তি। আমার ছেলের মালয়েশিয়ায় সাত বছর পড়াশোনার পুরো খরচ আব্বু দিয়েছিলেন। প্রথম নাতি, তাই অদ্ভুত ভালোবাসা ছিল। আজ আমার ছেলে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মিউজিক নিয়ে কাজ করছে। 

আমাদের সমাজে এখনও ড্রাগস ট্রিটমেন্ট লুকিয়ে করা হয়। মনে হয় নব্বই দশকের এইডস ট্রিটমেন্ট। প্রথমত বাবা-মায়েরা স্বীকারই করতে চায় না, তাদের সন্তান ড্রাগসের কবলে। ধনীরা লুকিয়ে সন্তান পাঠিয়ে দেয় মুম্বাই, দিল্লি, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ায় রিহ্যাবে। যারা উচ্চ মধ্যবিত্ত তারা ঢাকার রিহ্যাবে। সবই আমার চোখে দেখা। সমবেদনার জায়গায় বাবা-মায়েরা সন্তানের এই ব্যাপারটা সমাজের কাছে, বন্ধুমহলে কীভাবে ধামাচাপা দেওয়া যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বেশি। সহায়তার জন্য স্কুল বা সমাজ কেউই এগিয়ে আসে না। সন্তানের হাতে এই যুগে নতুন আইফোন দেওয়াটা বাহাদুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্তানের দোষ বা ভুলগুলো স্বীকার করে সময়মতো চিকিৎসা না দিয়ে মিথ্যায় সেটা ঢাকার চেষ্টা চলে বেশি। হায়রে সমাজ!

পাইলট হওয়ার সুবাদে প্রতি ছয় মাসে আব্বুদের মেডিক্যাল চেকাপ হতো।  আব্বু নিজে ও ছোটবেলা থেকে আমাদের ভাইবোনদের জন্য শরীরচর্চা বাধ্য করেছিলেন। নিয়মিত হাঁটা, মেডিটেশন এবং কিছু যোগব্যায়াম আব্বুকেই প্রথম করতে দেখেছিলাম। আব্বু যোগব্যায়াম করতেন বই পড়ে। যদিও আমাদের পরিবারে ডায়াবেটিস অনুপস্থিত। তারপরেও। এখন তো গুগল করে সবাই এসব জানি।  একবার পড়েছিলাম, ‘৩৫ বছর পর নারীদের বেস্ট ফ্রেন্ড প্রতিদিন হাঁটা’। এখনও মনে আছে। আমারও অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। বছরে দুইবার মেডিক্যাল চেকাপ করি।

বান্ধবীদের শরীর খারাপ হলে যখন বলি- তুই বাসায় কেন? হাসপাতালে যা, ডাক্তার দেখা। বেশিরভাগ সময় উত্তর শুনি- ‘আমি একা যাবো? তার (মানে স্বামীর) তো সময় হয় না।’ তাজ্জব হয়ে ভাবি, শপিংয়ে বা কিটি পার্টিতে তো স্বামীর দরকার হয় না। আর নিজে ডাক্তার দেখাতে পারিস না? ঠিক একই কারণেই আমার বেস্টফ্রেন্ডকে ক্যানসারে হারিয়েছিলাম। একবছর দেরি করে স্ক্যান করাতে গিয়ে নিজের জীবনটাই হারালো। এমন উদাহরণ বহু। আমরা কিছু নারী কেন এখনও এই মানসিকতা থেকে বের হতে পারি না? শহরের নারীরা শিক্ষিত। অনেকে চাকরিও করছেন। কিন্তু নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেই কেন?

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি আব্বুর ভীষণ অপছন্দ ছিল। হয়তোবা ছোটবেলায় ’৪৭ এর দাঙ্গা দেখার কারণে। আমরা প্রতি বছর দুইবার করে স্কুল ভ্যাকেশনে বিদেশ যেতাম। কখনও এশিয়া, কখনও ইউরোপ। আসলে বাংলাদেশ বিমান যেসব জায়গায় যেত। আব্বু সবসময় চার্চ বা বড় মন্দির দেখলেই আমাদের ঘুরিয়ে আনতেন। কতই বা বয়স তখন আমার। কিন্তু মনে আছে। আব্বু বলতেন, ‘মনে রাখবি পৃথিবীর কোনও ধর্মই খারাপ না। কোনও ধর্মই মানুষকে ঘৃণা করা শেখায় না। যার ধর্ম তার কাছে। রেসপেক্ট।’ 

আমার শেষ ডিভোর্সের পর যখন মা প্রায় মূর্ছা যায়। আমি আর বিয়ের মধ্যে যাইনি। যাওয়ার ইচ্ছাও নেই। ছেলের বিয়ের রিসিপশন সামনে। নানি হওয়ার স্বাদও পেয়েছি। জীবন সুন্দর। জীবনসঙ্গী ছাড়াও জীবনকে সুন্দর নিজের করে নিতে হয়। জীবনে এখনও অনেক কিছু করার আছে। সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছে। এটা তো আমরা ভুলেই যাই। সুখে থাকার চাবিকাঠি নিজের কাছে। অন্যের কাছে নয়। 

পরনিন্দা করার আগে একটু ভেবে দেখবেন–আপনার বা আপনার পরিবারেও আজকাল ডিভোর্স কি নতুন শব্দ? আমাদের সমাজও বদলাবে। স্বামীর পরিচয় নয়। নিজের পরিচয়েই মেয়েরা উঠে আসবে। আমরা ভুলেই যাই কেউ মনের খুশিতে ডির্ভোস দেয় না। প্রতিটা ডির্ভোসের পেছনে আছে হৃদয়বিদারক সব গল্প। কিন্তু আমাদের গসিপ কি থামে? সচ্ছল নারীদেরও দেখি শুধু পরিবার ও সমাজের চাপে টক্সিক সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে আছে। মনের জোর নেই। লোকে কি বলবে?

আশ্চর্যভাবে আব্বু চলে যাওয়ার আগে গভীর রাতে বাপ-বেটি মিলে এসব আলাপ করতাম। একবার হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো– ‘তোর রিটায়ার প্ল্যান কী?’ থতমত খেয়ে গেলাম। বললাম, ‘না মানে ইয়ে এখনি রিটায়ার!’ আব্বু একদম খুব ক্যাজুয়ালি বাংলায় বললেন, ‘আর যাই করিস, নিজ সন্তানের গলগ্রহ হবি না!’ জানতে চাইলাম, মানে? বললো–‘সিম্পল, বুড়ো বয়সে বাচ্চাদের সংসারে থাকবি না।’ 

সত্যি রেগে গিয়ে বললাম, ‘আচ্ছা আব্বু, চাওটা কী তুমি বলো তো?’ তার কথা, ‘কেন, ওল্ডহোমে থাকবি থাটসে’! তারপর রাগে ফেটে পড়লাম, ‘আব্বু তুমি এটা কীভাবে বলতে পারলে? আমাদের দেশের ওল্ডহোমগুলোর অবস্থা দেখেছো? লিভিং হেল!’

আব্বু উল্টো হাসতে থাকলো, ‘পাগলি অন্যরকমভাবে চিন্তা কর। এই দেশ ছাড়াও অনেক ওল্ডহোম আছে। বলা যায় না তোর বয়স হতে হতে বাংলাদেশেও ধনী মানুষদের জন্য গলফ কোর্স, বিশাল লেক, সুইমিং পুল, ফিজিওথেরাপিস্ট, মুভি হলসহ উন্নত ওল্ডহোম হয়ে যেতে পারে। পাশের দেশ কলকাতায় হলে এই দেশে হবে না কেন? বরং বাচ্চাদের পড়াশোনা করাও। প্রপার্টি তাদের দেওয়া হয় না। আর নিজে বিদেশে ভালো ওল্ডহোমে থাকবে। ২৪ ঘণ্টা মেডিক্যাল কেয়ার। দারুণ পরিবেশ। চমৎকার ডায়েট। কারো করুণা নয়। ভালোবাসা থাকলে বাচ্চারা ঠিকই দেখতে আসবে। তুই গুগল কর। তোর জীবন, তুই ঠিক কর। বন্ধুও পেয়ে যাবি। আর যদি না যেতে চাস তাহলে ঢাকার ফ্ল্যাটে একা থাকবি। টাকা দিয়ে নার্স রাখবি। কিন্তু কোনোভাবেই বাচ্চাদের গলগ্রহ নয়। তারা তাদের মতো করে থাকুক।’

সত্যি কবে আমরা বদলাবো? শহরের অনেক বাচ্চা দেশ ছাড়ছে। বা একা সংসারে আগ্রহী। জেনারেশন গ্যাপ। সচ্ছলদের জন্য ওল্ডহোম বানাতে সমস্যা কোথায় আমাদের? প্রাইভেট কোম্পানিগুলোও তো শুরু করতে পারে। অনেক বয়স্ক দম্পতির বাচ্চারা বিদেশে পাকাপোক্ত। তারা ছাড়াও বিপত্নীক, বিধবা, আমার মতো ডিভোর্সি বা একাকী থাকে অনেকে। যত টাকাই থাকুক একটা বয়সের পর একা থাকাটা কঠিন। তাদের জন্য সমাধান একটাই– উন্নত ওল্ডহোম। আমার স্বপ্ন!

আরেকটা ব্যাপার আব্বু খুব বলতেন– কাউকে যাচাই করার আগে নিজেকে তার জায়গায় ভাবতে হয়। দেখবে পৃথিবীটাই অন্যরকম লাগছে। ঝগড়া করার আগে অবশ্যই অন্যজনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করো। ‘হেইট’ শব্দটা নিয়েও আব্বুর আপত্তি ছিল। আসলে হেইট একটি নেতিবাচক শব্দ যা আপনাআপনি নিজের মধ্যে ঢুকে যায়। আমাদের বয়স বাড়ছে কিন্তু এসব থেকে বের হতে পারছি না।

আব্বু বই কিনতে ওস্তাদ ছিল। আব্বু চলে যাওয়ার পর আমি প্রায় দুই ট্রাঙ্ক বই একটা লাইব্রেরিতে দান করে দিয়েছিলাম। সেখানে কোন বিষয়ে বই ছিল না! কিরো’র হাত দেখা থেকে শুরু করে ম্যাজিক, এনিমেল কিংডম, মহাভারত, মহেঞ্জোদারো, চেঙ্গিস খান থেকে শুরু করে লিও টলস্টয়, কামু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুরো সংগ্রহশালা, নজরুল, শরৎচন্দ্র বা ইলিয়ট। মাইকেল মধুসূদনের সনেট খুব পছন্দের ছিল। আফসোস ছিল যে, তার কদর দেশবাসী করেনি। বিটোফেন, তাকেভোস্কির রেকর্ড ও বই দুটোই ছিল। ভার্জিনিয়া উলফ আর শেলি’র বইগুলো এখনও আমার কাছে আছে।

এখন বই পড়ার অভ্যাস সবকিছু থেকেই বাতিল। নতুন জেনারেশন হোক বা আমরা। বই পড়ার মধ্যে নেই। আরে টিভি সিরিয়াল আর নেটফ্লিক্স দেখবো নাকি বই নিয়ে পড়ে থাকবো? (করোনা মহামারির লকডাউনের সময় বাদে) যখন আড্ডায় বা দাওয়াতে বসি, কোনও নারী বা পুরুষ লেটেস্ট বেস্টসেলার বই নিয়ে কথা বলে না। লেখকদের নিয়ে কিংবা যেকোনও বই নিয়ে কারও আগ্রহ নেই। ১ বা ২ শতাংশ ব্যতিক্রমদের কথা বলছি না। তাদের পাওয়াও যায় না। এখন পার্টিতে চলে ভ্যাকেশন নিয়ে গল্প। কে কী গাড়ি কিনলো, এমিরেটস-এর ফার্স্ট ক্লাসে নতুন কী যোগ হলো, গুলশানের ৭ কোটি টাকায় কেনা নতুন ফ্ল্যাটটা সস্তায় পেয়েছে, ছেলেমেয়েদের বিয়ের বাজেট কত, শপিং হবে কোথা থেকে, সিগমা’সকে দিয়ে ওয়েডিং ডিজাইন করাচ্ছে, হলুদে সনু নিগাম কত কম নিলো ইত্যাদি।

প্রতিটি সন্তানের জীবনে বাবা অথবা মা বিশেষ রোল প্লে করে। সব বাবাই যে ভালো আর সব সন্তানই যে আদর্শ তাও সত্যি নয়। কিন্তু যারা ভাগ্যবান তারা মনে হয় ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট। আমার কষ্ট এখনও যায়নি যে, সময় থাকতে আব্বুকে আরও বেশি বেশি সময় কেন দিলাম না। জানি নিজে যত বুড়োই হই, বাকিটা জীবন অ্যা ওয়াইজ ম্যান’স অ্যাডভাইস খুঁজে বেড়াতে হবে নিজের ভেতরেই! আরেকটা কথা অবশ্যই বলা উচিত- আমি নিজের বাবার কথার ভেতর দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা মাত্র করেছি অ্যা ওয়াইজ ম্যান’স অ্যাডভাইসকে। এর সঙ্গে বিপরীত স্রোতে ভাসমান আমাদের সমাজ।

ঘুণপোকা সময়মতো না মারলে কিন্তু সবকিছুই ধ্বংস করে ফেলে। আমাদের সমাজ ও জীবনে ইতোমধ্যে ঘুণে ধরে গেছে। পারবো কি ঘুরে দাঁড়াতে?

/এসএএস/জেএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ