ধামরাইয়ে ধর্ষণ মামলার দুই আসামি আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর বাদীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও তা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেন ধামরাই থানার এসআই আরাফাত উদ্দিন।
অভিযোগ ও বাদীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই কাওয়ালীপাড়া এলাকার সুমন নামের এক যুবক একই এলাকার এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও কোনও সাড়া না পেয়ে ওই তরুণী নিজে বাদী হয়ে মূল অভিযুক্ত সুমন, তার ভাই শামীম, আমজাদ, সেলিম ও জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখ করে গত ৮ আগস্ট ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি শামীম ও সেলিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত ৩১ আগস্ট জামিন নিয়েছেন। তবে এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।
জামিন পাওয়ার পর শামীম ও সেলিম বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর থানায় একটি জিডিও দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার সূত্র ধরে আসামিরা গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে জাহাঙ্গীর বাদীর পরিবারের একটি কক্ষের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে পাশের একটি টিনশেড ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে আগুন নেভায় ও তাদেরকে উদ্ধার করে।
পর দিন বুধবার (৬ অক্টোবর) বিকালে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযোগ জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ। এছাড়াও ধর্ষণের মামলা করার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সুমনের পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। তাই মামলা না তুলে নেওয়ায় তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুরো পরিবারের সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তবে তালা দিয়ে আগুন লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করে শামীম। তার দাবি, তাদের ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই আগুন দিয়ে এই মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধামরাই থানার এসআই আরাফাত উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। সেখানে আগুন লাগার বিষয়টি সত্য। তবে কে বা কারা অথবা দুর্ঘটনা থেকে আগুন লেগেছে কি-না, বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্য তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।