শরীয়তপুরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ২৮ জেলেকে ২১ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর পালেরচর, বাবুরচর, কুণ্ডেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ২১ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া। পরে পুলিশ তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে, ৫ অক্টোবর জাজিরা উপজেলায় আরও তিন জেলেকে একই অপরাধে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে চার দিনে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাব নদীতে ৫২টি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও এক লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মামলা হয়েছে ৩৫টি। পাঁচ লাখ ৯ হাজার মিটার মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়। এছাড়াও চারটি বোট ও একটি ট্রলার আটক করা হয়।
জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। জাজিরা অঞ্চলে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র বেশি। এ কারণে জাজিরার নদ-নদীর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাদের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।’
শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭১ কিলোমিটার নদীপথ। দীর্ঘ এ নদীতে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলেরা মা ইলিশ শিকার করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করে জাল ও নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে।’