শরীয়তপুরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ৫২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৯ অক্টোবর) শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জনকে এক মাস ও চার জনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাফিস। পরে পুলিশ তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠায়।
এর আগে গত ৫ ও ৮ অক্টোবর জাজিরা উপজেলায় আরও ৩১ জেলেকে একই অপরাধে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে ছয় দিনে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাব নদীতে ৭৪টি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও দুই লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট মামলা হয়েছে ১১৬টি। ছয় লাখ ৬৫ হাজার মিটার মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি বোট ও একটি ট্রলার আটক করা হয়েছে।
ইউএনও তানভীর আল নাসিফ বলেন, ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদ-নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ভেদরগঞ্জ অঞ্চলে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র বেশি। এ কারণে ভেদরগঞ্জ নদ-নদীর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭১ কিলোমিটার নদীপথ। দীর্ঘ এ নদীতে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলেরা মা ইলিশ শিকার করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করে জাল ও নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে।