টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার মেঘ কাটছেই না। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ার্ম-আপ ম্যাচেও বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলাম-নাসুম আহমেদদের রীতিমতো শাসন করেছেন আইরিশ ব্যাটাররা। তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করেছে আয়ারল্যান্ড।
আবুধাবির ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। শুরুতে বল হাতে তুলে নেওয়া তাসকিন আহমেদ সফল। ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার ওপেনিং সঙ্গী শেখ মেহেদী হাসানও দারুণ বল করেছেন। কোনও উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে তার খরচ ১৫ রান।
কিন্তু মোটেও সুবিধা করতে পারেননি নাসুম, মোস্তাফিজ ও শরিফুল। দুই বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ও শরিফুল ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১০-এর ওপরে! এই সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে আইপিএলে দারুণ সময় কাটালেও বাংলাদেশের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে ব্যর্থ মোস্তাফিজ। উইকেট তো পানইনি, উল্টো ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪০ রান।
অন্যদিকে শরিফুল ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। নাসুমের ওপর দিয়েও ঝড় বইয়ে দিয়েছেন আইরিশ ব্যাটাররা। বাঁহাতি স্পিনার ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পেযেছে ১ উইকেট। আর সৌম্য সরকার ২ ওভার বল করে উইকেট না পেলেও বেঁধে রেখেছিলেন ব্যাটারদের, দিয়েছেন ১৩ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের ওপর সবচেয়ে বড় ঝড় বইয়ে দিয়েছেন গ্যারেথ ডেলানি। তিনে নেমে আইরিশ ব্যাটার খেলেছেন হার না মানা ঝড়ো ৮৮ রানের ইনিংস। ৫০ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি সাজান ৩ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্কায়। এর আগে ওপেনিংয়ে পল স্টার্লিং ১৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২২ রান করে নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে যান। আরেক ওপেনার অ্যান্ড্রু বারবার্লি ২২ বলে ২৫ রান করে বোল্ড তাসকিনের বলে। এই পেসারের অন্য শিকার জর্জ ডকরেল (৯)। আর হ্যারি হেক্টর ২৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।