ভারতের দিল্লির সিংঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ কেন্দ্রে উল্টে রাখা পুলিশ ব্যারিকেডের ওপর এক তরুণের মরদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ডিএসপি হংসরাজ জানিয়েছেন, কৃষক বিক্ষোভ চলার স্থান থেকে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে হাত-পা কাটা ঝুলন্ত একটি মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কে দায়ী তা জানা যায়নি। অজ্ঞাতদের দায়ী করে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হংসরাজ জানান, হরিয়ানার সোনিপথ জেলার কুন্দলিতে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চললেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি লাখবির সিং (৩৫) পাঞ্জাবের টাম তারান জেলার বাসিন্দা। তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। স্ত্রী, বোন এবং তিন মেয়ে রয়েছে তার। সবচেয়ে বড় মেয়েটির বয়স ১২ বছর।
নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শিখ গ্রুপ নিহংসকে দায়ী করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা গেছে, নিহংস গ্রুপটি লাখবির সিংকে ঘিরে তার কবজি কেটে দেয়। তীব্র যন্ত্রণায় কুকড়ে ওঠেন লাখবির। তবে তাকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে যায়নি।
ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শিখ ধর্ম গ্রন্থকে অপমান করায় লাখবির সিংকে হত্যা করে নিহংস গ্রুপটি। পরে তারা মরদেহটি পুলিশ ব্যারিকেডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া জোট সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। লাখবির সিং এবং নিহংস গ্রুপ উভয় থেকেই দূরত্ব বজায় রেখেছে জোটটি। জোটটি বলেছে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা স্পষ্ট করতে চায় নিহংস গ্রুপ এবং নিহতের সঙ্গে কিষাণ মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা যেকোনও ধর্মীয় গ্রন্থ কিংবা প্রতীক অবমাননার বিরোধী... কিন্তু কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না।