X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংগীত-নৃত্য-কথামালায় ফিরে এলো ছোট্ট শেখ রাসেল

বিনোদন রিপোর্ট
১৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:২৩আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:৫৪

বেঁচে থাকলে এদিন তার ৫৭ বছর পূর্ণ হতো। অন্য কোনও ব্যঞ্জনায় হয়তো পালন করা হতো বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন।

তবে সেটা না হলেও প্রথমবারের মতো আজ (১৮ অক্টোবর) জাতীয় দিবস হিসেবে দেশব্যাপী পালিত হলো ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’।

‘শেখ রাসেল- দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শুধু গান, কবিতা, নৃত্য বা আলোচনা নয়, পুরো একাডেমিই যেন সেজেছিল উদযাপনে। জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনের বাইরে শোভা পাচ্ছিল ফুলেল আয়োজন, ভেতরেও তাই।

সকালে জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ছিল শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আর সন্ধ্যায় নাট্যশালা মিলনায়তন মঞ্চে ছিল গান-কবিতা-নৃত্য-আলোচনা। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক আয়োজনের শুরুটা হয় নাদিয়া আফরিনের আবৃত্তিনির্ভর প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে। যেখানে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় শিশু রাসেলের দিনগুলো উঠে আসে। এরপর বেঙ্গল শিল্পালয়ের খুদে শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্রে তোলা ‘হ্যাপি বার্থ ডে’র ইন্সট্রুমেন্টাল।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যেই রাখা হয়েছিল আলোচনা পর্ব। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। মুখ্য আলোচক কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বক্তব্য রাখছেন সেলিনা হোসেন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এ আয়োজনে খুদে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিল পুষ্পিতা ও জুনাইরা।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘শেখ রাসেল বিষয়টি যদি সামনে রাখি, তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেভাবে বড় হতে পারবে। আমাদের চেতনায় শুধু রাসেল নয়, আমাদের সব শিশুও থাকবে। তাদের বঞ্চনার জায়গা থাকবে না। বঞ্চনা ও বঞ্চিত শব্দের মধ্যে বেড়ে ওঠার সুযোগ থাকবে না। শেখ রাসেলকে স্মরণ করে মূলত দিবসটি করে যাবো। যে দিবসের মাঝে রাসেল শিশু অধিকারের জায়গাটা সবার মাঝে বিস্তারিত করে যাবে। দিগন্ত প্রসারী চেতনাবোধটি জাতীয়ভাবে শিশু অধিকারের বিষয়টি সমুন্নত করবে।’

সেলিনা হোসেন উল্লেখ করেন, ছোট্ট শেখ রাসেলের মধ্যে যে মানবতাবোধ, দার্শনিকতা, প্রতিবাদীরূপ পাওয়া গিয়েছিল তা তার পিতা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবার থেকে এসেছিল।

সাংস্কৃতিক আয়োজন

আলোচনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, ‘‘আজকের প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল- দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’। এগুলোর মধ্যে শেখ রাসেলের ব্যক্তিগত গুণাবলি উঠে এসেছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দীপ্ত মানে উজ্জ্বল, জয়োল্লাস মানে জয়ের যে উল্লাস, অদম্য মানে যাকে দমিয়ে রাখা যায় না। আর আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি তো সবাই বুঝতে পারছেন। শেখ রাসেল ছোট হলেও তার মধ্যে এই দিকগুলো ফুটে উঠেছিল। আমরা চাই, এই দিবসের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর মধ্যে এগুলো ফুটে উঠুক।’’  

আলোচনার পর আজকের সকালের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার নয় জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তারা হলেন, ক বিভাগের শোয়াইব তাজোয়ার, আরিফা রহমান আকাশী, সাইফুল সিয়াম; খ বিভাগের আলিশা সান্ত্বনী, নূর তাজ চেতনা, উজ্জ্বলী দাস এবং গ বিভাগের জায়রা আলম রিয়ান, মুন্তাকা ইসলাম, সানজিনা তাবাসসুম।

শিল্পকলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের দুজনকে দেওয়া হয় শেখ রাসেল পদক। তারা হলেন, ফায়রুজ মারিহা ও দীপ্রজিৎ সরকার।

ছবি: ওয়ালিউল বিশ্বাস

/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!