ডলফিন রক্ষায় ‘ডলফিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান’ অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে আরও বেশ কিছু গাইডলাইন ও পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার রক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ৪টি গাইড লাইন/ পরিকল্পনা দলিল চূড়ান্তকরণ’ সভায় এই প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) জাকিয়া আফরোজ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো.আমীর হোসাইন চৌধুরী, এটলাস ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং মন্ত্রণালয় ও বন অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সূত্র জানায়, ডলফিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান ছাড়াও ‘ফান্ড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’, ‘ডলফিন এটলাস ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ফর দ্যা গ্যাঙ্গেজ রিভার ডলফিন ইন হালদা রিভার’ প্রভৃতি কিছু সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদন করা হয়।
সভায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নদী এবং উপকূলীয় এলাকায় ডলফিনের সংখ্যা হ্রাস প্রতিরোধে এবং ডলফিনের আবাসস্থল রক্ষায় ‘ডলফিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান’ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। শীতকালে গাঙ্গেয় ও ইরাবতী ডলফিন দেশের যেসব স্থানে পাওয়া যায় ‘ডলফিন এটলাস ইন বাংলাদেশ’ তা জানাতে সহায়তা করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডলফিন ও এর আবাসস্থল সংরক্ষণ ছাড়াও ‘ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ফর দ্যা গ্যাঙ্গেজ রিভার ডলফিন ইন হালদা রিভার’ ডলফিন সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষের জন্য নির্দেশক হিসেবেও কাজ করবে। ডলফিন কনজারভেশন টিম যাতে সরকার প্রদত্ত অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে ডলফিন সংরক্ষণ কার্যক্রম দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে পারে এ জন্য ‘ফান্ড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
